‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সারাদেশের সব পোশাকশিল্প কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং নিটওয়্যার খাতের সংগঠন বিকেএমইএর পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
সরকার ইতোমধ্যে ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করে সাধারণ ছুটির আওতায় এনেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২ জুলাইয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, দিনটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা প্রতিবছর পালন করা হবে।
বিজিএমইএর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ধারা ১১৮ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫-এর বিধি ১১০ অনুযায়ী পোশাক কারখানাগুলো বছরের শুরুতেই ১১ দিন উৎসব ছুটি নির্ধারণ করে থাকে। ৫ আগস্টের এই নতুন ছুটি সেই নির্ধারিত উৎসব ছুটির অন্তর্ভুক্ত নয়। ফলে আইনত এটি বাধ্যতামূলক না হলেও, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে সব কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সচিব মেজর (অব.) মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে সব পোশাকশিল্প কারখানা সাধারণ ছুটি হিসেবে বন্ধ রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।”
একই ধরনের বার্তা দিয়েছে বিকেএমইএ-ও। তারা জানিয়েছে, ওই দিন সব নিটওয়্যার কারখানাও বন্ধ থাকবে। সংগঠনটি তাদের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে, শহীদদের স্মরণে ও সরকারি সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশে ৫ আগস্টের ছুটিকে সম্মান জানিয়ে কারখানাগুলো বন্ধ রাখা হোক।
এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প খাতের প্রায় চার হাজার কারখানায় কর্মরত প্রায় ৪০ লক্ষাধিক শ্রমিক একদিনের ছুটি পাচ্ছেন।
এই ছুটি সরকারের ঘোষণার বাইরেও তৈরি পোশাক খাতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী দিক তুলে ধরে—যেখানে শ্রমিক, মালিক ও সরকার একটি জাতীয় রাজনৈতিক ঘটনার প্রতি সম্মান প্রদর্শনে একমত হয়েছে।