রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে কোনো তথ্য নেই।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই ট্রাইব্যুনালের কাছে। নোটিশ জারি হলে তা পুলিশের এনসিবি শাখা জানতে পারবে। রেড নোটিশ জারি হয়েছে কি না, সেটি জানাবে আইজি কার্যালয়।
পরে পুলিশ সদরদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির তথ্য তাদের কাছেও নেই।
গত ১০ নভেম্বর অন্তর্র্বতী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে বলেন, শেখ হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অভিযুক্ত পলাতক সব আসামিকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।
১২ নভেম্বর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং মামলার আসামি। তবে তিনি পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে দেশের সীমানার বাইরে অবস্থান করছেন। এরকম একজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে বা তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
প্রসংগত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। পরবর্তীতে জুলাই গণহত্যা ও বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুন ও দুর্নীতির শত শত অভিযোগে মামলা হয় শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকার প্রতিশ্রুতি দেয়, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচার করার। সে মোতাবেক গত ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে আবেদন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইজিপির দপ্তর যোগাযোগ করে ইন্টারপোলের সঙ্গে।