আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সসভাপতি আক্তারুজ্জামান রিটুকে বিএনপির সদস্যপদে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। শ্রীউলা গ্রামেন মৃত আঃ ওহাব সরদারের ছেলে মোঃ জহুরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে জানান, আমি ১৯৮৩ সাল থেকে বিএনপির সমর্থক। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে শ্রীউলা ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি এবং গ্রাম সরকারের ভূমিহীন সদস্য ছিলাম। ২০১৩ সালে স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের আমলে আমি একাধিক মামলা ও হামলার স্বীকার হয়ে তিনবার কারা ভোগ করি। পুলিশের অত্যাচারে আর বাড়ি ফিরতে পারিনি। একই গ্রামের বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান রিটু আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি বহাল আছে। অথচ তাকে ১নং ওয়ার্ডে বিএনপির সদস্য করা হয়েছে। এই রিটু বিএনপির কর্মী গোলাম রসুল ডবলু খুনের মামলার আসামী। ডবলু আওয়ামীলীগ আমলে একাধিক নাশকতা মামলায় কারা বরনকারী। আক্তারুজ্জামান রিটু আশাশুনি থানা ও কোটে জিআর-১০০/১৯, জিআর-১৭/০৯, জিআর-৪১/০৬, জিআর-২০৮/০৫ মামলার আসামী। তার অত্যাচারে বহু বিএনপি নেতাকর্মী জর্জরিত। সে ২০১৩ সালে আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের বন্দুক ব্যবহার করে মহিষকুড় মৎস্য সেটে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে গুলি করেছিল। গুলি থেকে মশিউর রহমান মোল্যা রক্ষা পেলেও বর্তমানে বাকপ্রতিবন্ধী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। রিটুর শ্যালক মোঃ মধু ও স্ত্রী দ্বারা আমার পরিবার নির্মনভাবে নির্যাতিত হয়। তারা ২০১৪ সালে আমার ৪টি মৎস্য ঘের লুটপাট করে নিয়ে অনুমান ৩,৭৫,০০০ টাকার ক্ষতি সাধন করে ও সিরিস গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়। যার আনুমানিক মূল্য ৭৫,০০০ টাকা। বাধা দিলে তারা আমার স্ত্রী ও মাতাকে বেদম মারপিট করে। এনিয়ে থানায় মামলা দিতে গেলে রিটুর কথা মত মামলা নেয়া হয়নি। সেই চরম হিংস্র, বিএনপি বিদ্বেষী ও অত্যাচার-নির্যাতনকারী আক্তারুজ্জামান রিটু ও তার শ্যালক মোঃ মধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত অস্ত্র চোরাচালানকারী ব্যক্তি। তৎকালীন পত্রদূত পত্রিকায় এসংক্রান্ত নিউজ আছে। সেই রিটু ও তার স্ত্রী শিরিনা আক্তার শ্রীউলা ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হওয়ায় শ্রীউলা ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। রিটুসহ আওয়ামীলীগের ফ্যাসিষ্ট চরিত্রের দোসররা যাতে বিএনপির কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয় সেজন্য উর্দ্ধতন কর্দৃপক্ষের কাছে আমি জোর দাবী ও অনুরোধ জানাচ্ছি।