দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা ৬নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ঈশানপুর ব্লকের কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ তোফায়েল আহমেদ ২০১৬ সালে অত্র এলাকায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি কৃষকদের সঙ্গে কৃষি বিষয়ক তেমন ধরনের পরামর্শদেন না। তিনি তার উধ্বর্তন কর্মকর্তা ও সাবেক একজন সচিবের দাপট দেখিয়ে চাকুরী করে আসছেন। এসএম আব্দুর রহিম অত্র ব্লক থেকে বদলী হয়ে চলে যান ডাবোর ইউপিতে। পরবর্তীতে ঈশানপুর ব্লকের দায়িত্ব দেন কৃষি কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদকে। তার মনমত পছন্দের লোকজনকে প্রদর্শনী ও ডিলারের কাছ থেকে সার নিয়ে দেন। অনেক কৃষক তাকে সারের কথা বললে তিনি বলেন, আমি কি দোকানদার যে যখন বলবেন তখন সার দিবো। কাজি কাটনা গ্রামের কৃষক জুয়েল বলেন, ১৭ জুলাই’২০২৫ আমি সারের জন্য মুটুনী হাট যাই। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে সারের কথা বলা হলে তিনি বলেন, লাইনে দাঁড়িয়ে সার নেন। কৃষক জুয়েল লাইনে দাঁড়িয়ে ১টি কৃষি কার্ড দেন। তার নামে কৃষি কার্ড না থাকায় সার পাননি সে। কৃষি কার্ডটি কাজি কাটনা গ্রামের মৃত হাসান আলীর নামে থাকার কারনে নন ইউরিয়া সার পাননি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তার পছন্দ মত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে আমন ধানের প্রদর্শনী, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, পুষ্টি বাগান, ভার্মি কম্পোজ ও আমন ধানের প্রনোদণা দিয়েছেন তার ইচ্ছামত। রামচন্দ্রপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্ময় না করে তিনি একাই এই সকল উপকরন দিচ্ছেন। বলরামপুর গ্রামের কৃষক মোঃ সহিদুল ইসলাম ৭ বিঘা ৩৪ ধান লাগাবেন কিন্তু তিনি কোন নন ইউরিয়া সার মুটুনী হাট থেকে নিতে পারেন নাই। তিনি বলেন, যার ১ বিঘা জমি নাই সেই পাচ্ছে নন ইউনিয়ার সার কিন্তু আমি পাই না। এলাকার কৃষকদের অভিযোগ উক্ত কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা তোফায়েলকে ঈশানপুর ব্লক থেকে বদলী করে অন্য জায়গায় দেওয়ার জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।