নিকলীতে ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন, মালিক-শ্রমিকের ক্ষোভ

এফএনএস (সানি সূত্রধর; নিকলী, কিশোরগঞ্জ) : | প্রকাশ: ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
নিকলীতে ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন, মালিক-শ্রমিকের ক্ষোভ

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার বনমালিপুর এলাকায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মেসার্স সামীয়া ব্রিকস নামের একটি ইটভাটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি-ইটভাটাটি অবৈধ; তবে মালিক ও শ্রমিকদের অভিযোগ, কোনো নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ অভিযান চালিয়ে তাদের জীবিকা বিপর্যস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান চলাকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা সহকারী পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, “আমরা পূর্বেই নোটিশ পাঠিয়েছি। এই ইটভাটাটি অবৈধ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

তবে ইটভাটার মালিক মোঃ জহুরুল হক অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি।হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে ১২/০৮/২০২৫ তারিখে ০৩/০৭/২০২৫ তারিখে ইস্যুকৃত চিঠি মুটো ফোনের মাধ্যমে রিসিভ করতে বলে   কিন্তু আমি হালনাগাত ঠিটির কথা বললাম  উনি আমাকে দিচ্ছি বলে রেখে দেয়।আমি সাথে সাথে মহামান্য সুপ্রিম  কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশনের আবেদন করি। অভিযান পরিচালনার সময় রিট পিটিশনের কাগজ দেখালেও এর কোন তোয়াক্কা করেননি। আমাদের কাছে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনপত্র ৭ই অক্টোবর ২০২৫ সাল পর্যন্ত বৈধ ছিল।অন্যান্য সকল কাগজ পএ ২০২৬ সাল পর্যন্ত নবায়ন করা আছে।  অভিযান চলাকালে আমরা সব কাগজপত্র দেখালেও তা গ্রহণ করা হয়নি।আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে,আমি ন্যায়বিচার চাই  হঠাৎ করে এসে ভাটা ভেঙে দেওয়ায় আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছি।”

ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা অনেক দিন ধরে এখানে কাজ করছি। ঈদের পর কাজ শেষ করে সংসার চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু ভাটা ভেঙে দেওয়ায় আমাদের জীবিকা সংকটে পড়েছে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে ইটভাটার স্থাপনা ও উৎপাদিত ইট ভেঙে ফেলা হয়। এতে ইটভাটা মালিকসহ প্রায় ৩০-৪০ জন শ্রমিক সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়েছে।এলাকাবাসীর দাবি উক্ত ইটভাটাটি বন্ধের ফলে কেটে খাওয়া  সাধারন জনগনের জীবিকার উপর আঘাত আনলো। আমরা চাই প্রশাসন যেন আমাদের কর্মসংস্থানের এ সুযোগটুকু পূণরায় চালু করে আমাদের জীবিকা অর্জনে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেই।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে