দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে আগাম জাতের আলু তুলছে আলু চাষীরা। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আলুর ফলন ভাল হয়েছে, দাম গতবারের তোলনায় এবার দাম পাচ্ছে কৃষক। ভাল দাম পাওয়ায় এবার লাভের মুখ দেখছেন কৃষক। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার কাজি কাঠনা এলাকায় মোঃ আফজালের জমিতে কারিজ জাতের আলু প্রতি কেজি পাইকারী দরে বিক্রি হয়েছে ৪৭ টাকা। মোঃ আফজাল বলেন, এবার আলু উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে ভালই লাভ হবে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে এবার আলুর লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫ শত ৮০ হেক্টর জমিতে তবে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে উপজেলায়।
কাহারোল উপজেলার বলরামপুর গ্রামের মোঃ শাহাজান আলী বলেন, এবার লাভের আশায় ১ বিঘা জমিতে কারিজ জাতের আলু লাগিয়েছিলাম। জমি থেকে পাইকারা ৪৮ টাকা কেজি দরে আলু নিয়ে গেছে ঢাকা কারওয়ান বাজারে ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল হালিম। কৃষক শাহাজান বলেন, এবার আলুর ফলন ভাল হওয়ায় খরচ বাদ দিয়ে ভাল লাভ হয়েছে। অপর কৃষক মোঃ জসিম বলেন, ১ বিঘা জমি আবাদ করে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। তিনি বলেন, আগাম আলুর ফলন ভাল হওয়ায় ভাল দাম পেয়ে লাভের মুখ দেখেছি। অপর কৃষক শরীফ বলেন, বীজের দাম বেশী থাকায় ১ বিঘা জমিতে ৪৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, আলু বিক্রি হয়েছে ১ লক্ষ পঁত্রিশ হাজার টাকায়। তিনি আরও বলেন, বীজের দাম কম থাকলে আরও বেশী লাভ হত।
কাহারোল উপজেলা কৃসি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, আগাম জাতের আলু ৬৫ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে আলু তুলতে পারেন কৃষক। সাধারনত আগাম জাতের আলুর ফলন হেক্টর প্রতি ১০ থেকে ১২ মেট্রিক টন তবে মাঠ পর্যায়ে আমরা দেখছি হেক্টর প্রতি ১৫ থেকে ১৬ মেট্রিক টন পর্যন্ত আলু উৎপাদন হযেছে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকেরা ভাল লাভ বান হচ্ছেন। তিনি বলেন, কৃষকদের আলু চাষে সকল প্রকার সহযোগিতা পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।