রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তারের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় চলমান বিতর্কের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গুলশান কাণ্ডে কোনো উপদেষ্টা জড়িত কিনা তা জনগণের সামনে পরিষ্কার করা জরুরি, নাহলে এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন উত্থিত হতে পারে।
সালাউদ্দিন আহমদ আরও মন্তব্য করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। যারা নির্বাচন বয়কট করবে বা বানচালের চেষ্টা করবে, তারা অবশেষে পরাজিত হবে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নির্বাচনের আগে সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে কড়াকড়ি অভিযান প্রয়োজন। অবৈধ অস্ত্র মাঠে থাকলে ফ্যাসিস্ট শক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে।
সম্প্রতি এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু’র একটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তিনি একজন উপদেষ্টার সঙ্গে ভোরে গুলশানের একটি হোটেলের সামনে সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংবাদ সম্মেলনে অপুর স্ত্রী কাজী আনিশা দাবি করেন, এই স্বীকারোক্তি জোরপূর্বক বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নির্দেশে করানো হয়েছে।
অপুর স্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, তার স্বামীকে তুলে নিয়ে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে ভিডিওটি তৈরি করা হয়। এ বিষয়ে সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, ঘটনার যথাযথ তদন্ত ছাড়া উপদেষ্টাদের বিষয়ে তথ্য সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করা সম্ভব হবে না এবং জনগণ সঠিক তথ্য জানার অধিকার হারাবে।
বঙ্গোপসাগরীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ঘটনার প্রভাব এখনই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অস্পষ্টতা সৃষ্টি করতে পারে। বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান ও স্বাধীন তদন্তের দাবি করা হয়েছে, যাতে উপদেষ্টাদের ভূমিকা নির্ধারণ এবং রাজনৈতিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়।