বঙ্গবন্ধু, গণতন্ত্র ও দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে প্রতীকী যুব সমাবেশে’ তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’।
দুদু বলেন, জনগণ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময় মেনে নিয়েছে। যদিও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা জানেন, ডিসেম্বরের মধ্যেও নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব ছিল। তবুও সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন দেখতে চেয়েছেন। সেই কারণে বিএনপি এই সময়সীমা মেনে নিয়েছে, তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে ফেব্রুয়ারি মাস কোনোভাবেই অতিক্রম না করে।
তিনি আরও বলেন, যথাসময়ে এবং সঠিক সময়ে নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না। স্বৈরতন্ত্র পতিত হয়েছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে সব অর্জন সম্পূর্ণ হয়েছে। স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকারের প্রতিষ্ঠার জন্য গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অপরিহার্য। ভোটে কে নির্বাচিত হবে তা জনগণই নির্ধারণ করবে।
দুদু তীব্র সমালোচনা করেন বর্তমান সরকারের গত তিন নির্বাচনের জন্য। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা দেশকে স্বৈরতন্ত্রের অধীনে রেখেছেন। শুধু গণতন্ত্র কবরস্থ করেছেন না, দেশের জনগণ ও আমাদের ছেলেমেয়েদের হত্যাকাণ্ড ও লুণ্ঠিত সম্পদের বিদেশে পাচারের মাধ্যমে গণহত্যা চালিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে এবং নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনের ক্ষেত্রে টালবাহানা করবে, তারা প্রকৃতপক্ষে স্বৈরশাসন ও ফ্যাসিবাদকে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে চাইছে। তাই জনগণকে, বিশেষ করে যুব সমাজকে সতর্ক থাকতে হবে। দুদু বলেন, জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এদিকে সমাবেশে বিএনপির অন্যান্য নেতা ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা দেশের রাজনৈতিক সংস্কার, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যৎ নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে বক্তৃতা করেন।