দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে রোববার (১৭ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার বাদী উপস্থিত না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুর ইসলাম জানিয়েছেন, এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষ্য দিতে আসেননি। তিনি-ই ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে প্রায় ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এবং তদন্ত করেন।
এর আগে গত ১৭ জুলাই আদালত সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন এবং তাকে হাজির না হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে ১৭ আগস্টকে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের প্রেক্ষাপটে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর র্যাব কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে। পরে কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, ইয়াবা, মদ, ক্যাঙ্গারুর চামড়া ও নির্যাতন করার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ওই সময়ই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা হয়।
দুদক ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়, যেখানে সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট ২২২ কোটি টাকারও বেশি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। দীর্ঘ কারাবাসের পর ২০২২ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পান। তবে আদালতে মামলার কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চলমান রয়েছে।
আদালত সূত্র বলছে, বাদীর সাক্ষ্য না হওয়ায় মামলার কার্যক্রম আরও বিলম্বিত হলো। এখন আগামী ৩ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।