২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলমান। রোববার (১৭ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রপক্ষের সপ্তম সাক্ষীর জেরার পর প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হতে পারে।
ট্রাইব্যুনালে 이날 চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ, মিজান মিয়া এবং খুলনার শিক্ষার্থী নাইম শিকদার। তাদের জেরা করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। এসময় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, মামলায় মোট ৮১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ হবে। তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষের বেশিরভাগ সাক্ষীর সাক্ষ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ হওয়া সম্ভব, তবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে তা সম্পন্ন হতে পারে। তিনি আরও জানান, আসামি ও পরে রাজসাক্ষী হিসেবে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক কখন সাক্ষ্য দেবেন তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে।
২০১৯ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যে চারটি অভিযোগ গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে তিনটিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়েছে। এই মামলার প্রেক্ষিতে পরিকল্পিতভাবে ড্রোন, হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর কার্যালয় আশা করছে, এই বছরের মধ্যে চারটি মামলার বিচারকাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ শেষ হতে পারে। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম, মিজানুল ইসলাম, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।