আশাশুনির রাধাবল্লভপুরে নদীতে অবৈধ আড়াআড়ি বাঁধের কাজ শুরু

এফএনএস (জি.এম. মুজিবুর রহমান; আশাশুনি, সাতক্ষীরা) : | প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
আশাশুনির রাধাবল্লভপুরে নদীতে অবৈধ আড়াআড়ি বাঁধের কাজ শুরু

আশাশুনির রাধাবল্লভপুরে নদী খননের পর ওয়াপদার পাশে পানি নিস্কাশনের জন্য ব্যবহৃত নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ নির্মানের কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে দুটি গ্রামের পানি নিস্কাশনের পথ রুদ্ধ হতে চলেছে। এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডে দুটি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পৃথক একটি প্রতিকারের আবেদন করা হয়েছে।

একদল সাংবাদিক সরেজমিন গিয়ে জানতে পারেন, ব্রাহ্মণতেঁতুলিয়া ও রাধাবল্লভপুর গ্রামের ও বিলের পানি রইচ উদ্দীন মোড়লের বাড়ির পাশে পাইপ গেট দিয়ে মরিচ্চাপ নদীতে পড়ে থাকে। ফলে এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে আসছে। নদী খননের পরে ওয়াপদার পাশে বেশকিছু অংশ রেখে দিয়ে বাঁধের কাজ করা হয়। সেই থেকে পাইপ গেটের পানি ঐ অংশ দিয়ে নিস্কাশন হয়ে থাকে। সরকারি খাস সম্পত্তি দিয়ে পানি নিস্কাশন হওয়ায় কারো কোন আপত্তি বা সমস্যা নেই। এলাকাবাসী ও অভিযোগকারীরা জানান, স্থানীয় কুদ্দুছ মোড়ল, কামরুল গাজী, আজিজুল গাজী, আজহারুল গাজী, মিজানুর গাজী, আজগর, ভোদা মিস্ত্রী নদীতে আড়াআড়ি ভাবে বাঁধের কাজ করতে ইতিমধ্যে বাঁশের খুঁটি পুততে শুরু করেছে। ডবল সারিতে বাঁশ পুতে মাঝখানে কঞ্চি ফেলান হচ্ছে। পরবর্তীতে মাটির কাজ করে বাঁধ আটকানো হবে।

স্থানীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফিজুল ইসলাম জানান, বাঁধের কাজ সম্পন্ন হলে এলাকার পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে যাবে। এতে এলাকার ফসল ও বসবাস হুমকীতে পড়বে।

বাবর আলী গাজী জানান, সরকারি জমি জনস্বার্থে ব্যবহার করে এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করা হচ্ছে। যারা পানি নিস্কাশন পথ বন্ধ করে ব্যক্তি স্বার্থে খাস জমি ব্যবহারের চেষ্টা করতে চায় তারা অন্যায় করছে। একাজ বন্ধ হওয়া দরকার।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থান পরিদর্শনকালে সকলের উদ্দেশ্যে জানান, খাস সস্পত্তি সরকারের। জনস্বার্থে ব্যবহার করতে হবে। পানি নিস্কাশন পথ বন্ধ করে বাঁধের কাজ অবৈধ। তিনি বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানাতে বলেন। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে