জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম | প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান

জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রোববার (১৭ আগস্ট) লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় তাদের অটল অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, যে স্বৈরাচারকে সম্প্রতি মানুষ বিতাড়িত করেছে, তার পুনর্জাগরণ প্রতিহত করতে দলও জনগণের সঙ্গে একমত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

তারেক রহমান বলেন, “আমাদের আদর্শিক অবস্থান এক এবং অভিন্ন। দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য যে দৃঢ়তার সঙ্গে কবি-সাহিত্যিকরা দাঁড়িয়েছেন, সেই একই অবস্থান আমরা ধারণ করি। রাজনৈতিক দর্শনে পার্থক্য থাকলেও মূল বিষয় দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অবিচল আস্থা।”

তিনি কবিতা ও সংগীতকে যুগে যুগে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে উদ্বুদ্ধ করার শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরেন। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে ৯০-এর দশক ও গত দেড় যুগ ধরে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধেও এই শিল্পকলার উদ্ভাসিত প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। তার উল্লেখ্য, ২৪ সালের সফল গণআন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে এই প্রেরণার পূর্ণতা ও পরিপূর্ণতা দেখা গিয়েছে।

শিল্পী ও সাহিত্যিকদের অবদান প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “কবি ও সাহিত্যিকরা আমাদের আবেগ, অনুভূতি এবং জাতীয় স্বপ্নের ভাষ্য রচনা করেছেন। কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো বিদ্রোহী কবিরা আমাদের পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছেন। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে কবিতা ও দেশাত্মবোধক গান মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণার উৎস ছিল।”

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ শেষে দেশগঠনে শহীদ জিয়াউর রহমানের সময়কালে ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ গানটি বিএনপির দলীয় সংগীত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই বিশ্বাস জাতীয়তাবাদী প্রতিটি নেতাকর্মীর মধ্যে রয়েছে। প্রকৃত বাংলাদেশি হওয়ার মানে হলো জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী থাকা এবং দেশের প্রতি অটল শ্রদ্ধা প্রদর্শন।

একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এদেশের সব নাগরিকই মালিকানার দাবিদার। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ভোটাধিকারের সঠিক প্রয়োগ এবং বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। চরমপন্থা বা মৌলবাদের অভয়ারণ্য কখনো যেন তৈরি না হয়, সেটি আমাদের প্রত্যাশা।”

তারেক রহমানের ভাষায়, কবি-সাহিত্যিকরা মানুষের অপ্রকাশিত অনুভূতিগুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরেন এবং জাতীয় সচেতনতা সৃষ্টি করেন। যুগে যুগে তারা নির্ভীকভাবে মুক্তির কথা বলেছেন, যা স্বাধীনতার পর থেকে দেশের সকল ক্রান্তিলগ্নে আমাদের পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে