দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানির ফলে খুচরা পর্যায়ে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা। আর ৫৫ টাকায় মিলছে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ। দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতা সাধারণের মাঝে। আমদানির দ্বিতীয় দিন সোমবার দেখা যায়, আমদানির খবরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকার পত্ররা পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন। বন্দর অভ্যন্তরে পাইকারী পর্যায়ে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আমদানির প্রথম দিন অর্থ্যাৎ রোববার ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
হিলি বন্দরে নওগাঁ থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা আশরাফুল ইসলাম জানান, তিনি বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকেন। গত ৫ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় এক রকম বেকার ছিলেন। রোবাবর থেকে আবারও আমদানি শুরু হলে বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে বিভিন্ন মোকামে পাঠাচ্ছেন। তিনি জানান, আমদানির প্রথম দিন অর্থাৎ রোববার বন্দর থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন। পরদিন সোমবার ৪৮ টাকা দরে কিনেছেন।
হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোবরক হোসেন জানান, দু’দিন আগে দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ৭৫ টাকা দরে। এখন কেজিতে ১০ টাকা দাম কমে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন। আর আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৫৫ টাকায়। পাইকারি পর্যায়ে দাম কমায় খুচরা পর্যায়ে দাম কমিয়েছে বলে জানান তিনি।
হিলি কাস্টমস এর রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজের ওপর ৩১০ ডলার আইপি মূল্য নির্ধারণ করে ১০ শতাংশ হারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে।
হিলি বন্দর সূত্রে জানা গেছে গত দু’দিনে ১৪৯ টান ভারতীয় ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমাদনি হেেয়ছে। যা থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।