বনানীর সিসা বারে রাব্বি হত্যা: প্রধান আসামি মুন্নার দায় স্বীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
বনানীর সিসা বারে রাব্বি হত্যা: প্রধান আসামি মুন্নার দায় স্বীকার

রাজধানীর বনানীর ‘সিসা বার’-এ ছুরিকাঘাতে নিহত রাহাত হোসেন রাব্বি হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি আব্দুল মালেক মুন্না দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক মোক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মুন্নাকে কুমিল্লার বরুড়া থেকে গ্রেপ্তারের পর তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই আমজাদ শেখ জানান, আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা নথিবদ্ধ করার আবেদন করা হয় এবং আদালত তা গ্রহণ করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ‘৩৬০ ডিগ্রি’ নামের সিসা বার থেকে নামার সময় ভবনের সিঁড়িতে রাব্বিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাব্বি (৩১) মহাখালী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পরদিন শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বনানী থানায় মামলা করেন তার বাবা রবিউল আউয়াল।

ঘটনার তদন্তে উঠে আসে, সিসা বারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাব্বি ও মুন্নাসহ আরও কয়েকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। ঘটনার আগের রাতে বারের ভেতরে রাব্বির সঙ্গে মুন্নার বাকবিতণ্ডা হয় এবং তাকে বার ছেড়ে যেতে বলা হয়। পরদিন ভোরে রাব্বি বন্ধু নুরুল ইসলাম খোকনের সঙ্গে বার থেকে নামার সময় মুন্না ও তার সহযোগীরা তাদের পথরোধ করে। র‌্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাব্বি মুন্নাকে দেখে প্রশ্ন করলে দু’পক্ষের মধ্যে বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে মুন্না তার পাঞ্জাবির পকেট থেকে ছুরি বের করে রাব্বিকে উপর্যুপরি আঘাত করেন।

ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথমে কয়েকজন রাব্বিকে ঘিরে ধরে এবং একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পাশাপাশি তাকে লাঠিসদৃশ কিছু দিয়ে আঘাত করতেও দেখা যায়।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। এর মধ্যে মীর হোসেন, ফজলে রাব্বি, সাব্বির আহমেদ সুমন ও আরাফাত ইসলাম ফাহিম নামের চার আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে আরেক আসামি মাকসুদুর রহমান হামজার এক দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসিকিউশন বলছে, সিসা বারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তৈরি হওয়া দ্বন্দ্ব এবং পূর্বশত্রুতার জের ধরেই রাব্বি খুন হন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে