রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একদিকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে, অন্যদিকে যুদ্ধক্ষেত্রে হামলা অব্যাহত রেখেছে উভয়পক্ষ। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন শান্তির পথ খুঁজতে। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন চিত্রই তুলে ধরছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়া শিল্পনগরী ক্রেমেনচুকে হামলা চালিয়েছে। তেল ও যাতায়াত অবকাঠামো লক্ষ্য করে পরিচালিত এই হামলার কারণে নগরীর জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। ক্রেমেনচুকে অবস্থিত ইউক্রেনের বৃহত্তম তেল শোধনাগার দীর্ঘদিন ধরেই রুশ বাহিনীর হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের সিকিউরিটি সার্ভিস দাবি করেছে, তারা রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত লুহানস্ক অঞ্চলে দুটি অস্ত্রের গুদামে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় রাশিয়ার যুদ্ধ সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
এদিকে কূটনৈতিক মঞ্চে যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ নামের জোটের ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ত্রিশটিরও বেশি ইউরোপীয় ও কমনওয়েলথ দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন। আলোচনায় যুদ্ধোত্তর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রাশিয়ার পুনরায় হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনে সৈন্য মোতায়েন ও অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে গত মার্চে গঠিত এই জোট নিয়মিত বৈঠক করে যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। আন্তর্জাতিক মহলের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলমান থাকলেও ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়ের পাল্টাপাল্টি হামলা যুদ্ধের আগুন আরও দীর্ঘায়িত করছে।