বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়ে বললেন, “সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও আধিপত্যবাদী শকুনিরা এ দেশের মানচিত্রকে খুবলে খাওয়ার চেষ্টা করেছে। নানান ধরনের চক্রান্তের কথা শুনি। নানান ধরনের মাস্টার প্ল্যানের কথা শুনি। গণতন্ত্র এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এখনো নিশ্চিত নয়।” বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলনকে সুসংগঠিত করেছেন। তবে গণতন্ত্র এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি। এ জন্য আরও কঠিন পথ অতিক্রম করতে হতে পারে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আমাদের এখনো কাজ শেষ হয়ে যায়নি, গণতন্ত্র এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি। আমাদের সেই গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের হয়তো আরও বিপদসংকুল পথ অতিক্রম করতে হবে। এ কারণে আমাদের দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং জাতীয়তাবাদী শক্তি প্রস্তুত। আমাদের অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন এখনো নিশ্চিত হয়নি। আমরা নানান ধরনের চক্রান্তের কথা শুনি। নানান ধরনের মাস্টার প্ল্যানের কথা শুনি। গণতন্ত্র এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এখনো নিশ্চিত নয়।”
‘১৬ বছর ধরে পঁচাত্তরের পতিত ফ্যাসিবাদ নতুন রূপে ক্ষমতাসীন হয়েছে। দেশ শাসন করছে দুঃশাসন, গুপ্তহত্যা, বিরোধী রাজনীতিকে ধ্বংসের চেষ্টা, সংবাদপত্রকে পদদলিত করা আর ভিন্নমতের রাজনীতিকে দমনের মাধ্যমে’-উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা আরও যোগ করে বলেন, “বাকশালের অন্ধকার অঞ্চল থেকে আলোকিত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এত অল্প সময়ে তিনি মানুষকে দিয়েছিলেন নিরাপত্তা, স্বস্তি ও বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা। কিন্তু তা চক্রান্তকারীরা সহ্য করতে পারেনি। তাই তাকে হত্যা করা হয়।”
সংবাদ সম্মেলনে এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউস প্রমুখ- উপস্থিত ছিলেন।