ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান রাসেল হত্যা মামলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ তাঁর রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ করে এই আদেশ দেন।
প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক টাউন মহল্লা থেকে জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার এসআই মেহেদী হাসান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। অন্যদিকে আসামি পক্ষে আইনজীবী তন্ময় ভৌমিক রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি দাবি করেন, জনি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ঘটনার সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা নেই, তাঁকে কেবল সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে আদালত উভয় আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মাহমুদুর রহমান জনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ ও ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বও পালন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের সময় আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ওইদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সাভারের মুক্তির মোড়ে আন্দোলনে যোগ দেন ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান রাসেল। এ সময় আসামিদের ছোড়া গুলিতে তিনি আহত হন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর নিহতের ভাই সাইদুর রহমান গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর সাভার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।