লোমহর্ষক ৭ খুনের বর্ণানা দিলেন চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাহাজে হত্যাকারী ইরফান। একজনকে মারলে ত মারলে ত সমস্যা তাই ৭ জনকেই মেরে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ২৫ ডিসেম্বর বুধবার র্যাব-১১ এর কুমিল্লা টিম কে এসব জানায় আকাশ মন্ডল ইরফান। তিনি বলেন, বেতন পাই না কয়েক মাস;আবার চাইলেও গালমন্দ করতো জাহাজের মাষ্টার কিবরিয়া। এটা দেখেও জাহাজের অন্যরা কেউ প্রতিবাদ করতো না। তাই রাগে ক্ষোভেই সব গুলারে জাহাজেই মেরে ফেলেছি। ইরফান বলেন, দোকান থেকে ঘুমের ঔষুধ কিনেছি। এরপর বাবুর্চি রান্না করে রেখে যাওয়ার পর সে খাবারগুলোতে ঘুমের ঔষুধ মিশাই। সন্ধ্যায় যখন সবাই খেয়ে কেবিনগুলোতে ঘুমাচ্ছিলো। তখনি মাষ্টারকে দিয়ে মারার মিশন শুরু করি। চাইনিজ কুড়াল টা দোকান থেকে কিনেছিলাম। মারার পর ওইটা জাহাজেই ফেলে এসেছি। মারবো বলেই ওই রাতে আমি খাবার খাইনি। ইরফান আরও বলেন, শেষে জুয়েলকে গলায় ছুরি দিয়ে জবাই দেই। ছুরিটা বাবুর্চির কেবিন থেকেই নিয়েছি। ও কিভাবে বাঁচলো তা জানি না। গলায় ত ইচ্ছে মতো পোচাইছি।পালালেন কিভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে ইরফান বলেন, ওখানে ত সব চর। মাঝের চরে নামলে রাস্তা দেখতে পাই। সেখানে হাত মুখ ধুয়ে বিকাশে টাকা ছিলো তা উঠিয়ে পোশাক কিনে জেলে ট্রলারে করে পালিয়ে চলে যাই। আমার এই অপরাধে আর কেউ জড়িত নেই। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় রক্তমাখা পোশাক খুলে ফেলি এবং পরে নতুন জামা কিনে সেটা পড়ি। আমার বোনদেরকেও জানাইনি। ভাবছিলাম কোথাও দূরে চলে যাবো।