এশিয়া কাপের বহুল প্রতীক্ষিত ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ শেষ হলো একপেশে লড়াইয়ে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) মুখোমুখি লড়াইয়ে পাকিস্তানের দুর্বল ব্যাটিং ভেঙে যায় শুরুতেই, আর ভারত স্বচ্ছন্দে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয়।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম বলেই বিপদে পড়ে। হার্দিক পান্ডিয়ার ডেলিভারিতে সাইম আইয়ুব ক্যাচ দিয়ে ফেরেন, এরপর জাসপ্রিত বুমরাহর গতির সামনে টিকতে পারেননি মোহাম্মদ হারিস। ৬ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তান আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এক প্রান্ত ধরে রাখেন ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান (৪৪ বলে ৪০), তবে অন্য প্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিল থামেনি। কুলদিপ যাদব ঘূর্ণিতে নাওয়াজদের ফেরান দ্রুত। পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ১২৭ রান। শেষদিকে শাহিন শাহ আফ্রিদির ১৬ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস দলকে কিছুটা ভরসা দিলেও বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয় তারা।
জয়ের জন্য ১২৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতও শুরুতে হারায় শুভমান গিলকে। তবে অন্য ওপেনার অভিষেক শর্মা দেখিয়ে দেন কেন তিনি টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আছেন। মাত্র ১৩ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর দায়িত্ব নেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ও তিলক ভার্মা। দুজনের জুটিতে ভারত সহজেই জয় নিশ্চিত করে ১৫ দশমিক ৫ ওভারে। সূর্য অপরাজিত থাকেন ৩৭ বলে ৪৭ রানে, তিলক খেলেন ৩১ বলে ৩১ রানের ইনিংস।
পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র সাফল্য আসে সাইম আইয়ুবের হাত ধরে, যিনি ৪ ওভারে ৩ উইকেট শিকার করেন। ভারতের হয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন বাঁহাতি স্পিনার কুলদিপ যাদব, ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি।
ম্যাচ শেষে নতুন বিতর্কও তৈরি হয়। খেলা শেষে পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা করমর্দনের জন্য অপেক্ষা করলেও ভারতীয় খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফ মাঠে নামেননি। এমনকি টসের সময়ও দুই অধিনায়ক হাত মেলাননি। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘাত ও কূটনৈতিক টানাপোড়েন মাঠের ভেতরের সম্পর্কেও ছাপ ফেলেছে বলেই ধারণা ক্রিকেট বিশ্লেষকদের।
এই জয়ে গ্রুপে টানা দ্বিতীয়বার জয় পেল ভারত, যা তাদের সুপার ফোরের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া পাকিস্তান এ পরাজয়ে গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে চাপে পড়ল।