একসময় ইংল্যান্ডের পেস বোলিং অলরাউন্ডারদের অন্যতম ভরসার নাম ছিলেন ক্রিস ওকস। গত অ্যাশেজে হয়েছিলেন সিরিজসেরা, ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজেও খেলেছিলেন সবগুলো ম্যাচ। অথচ আজ তার টেস্ট ক্যারিয়ার কার্যত শেষের পথে। চোট ও দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় জায়গা না পাওয়ায় তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছেন।
গত ৩১ জুলাই ভারতের বিপক্ষে ওভাল টেস্টে ফিল্ডিংয়ের সময় পড়ে গিয়ে কাঁধের হাড় সরে যায় ওকসের। সেই চোটই তাকে ছিটকে দিয়েছে নভেম্বরের অ্যাশেজ সিরিজ থেকে। মঙ্গলবার ঘোষিত ইংল্যান্ডের ১৬ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি তার। এ প্রসঙ্গে ইংল্যান্ড দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব কি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ওকস আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় নেই।
রব কি বলেন,
“ক্রিস ওকসের জন্য সময়টা কঠিন। যে মুহূর্তে এই চোট এসেছে এবং ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা আছে, তা একেবারেই আদর্শ নয়। অ্যাশেজে তার থাকা সম্ভব হচ্ছে না, তাই আমাদের পরবর্তী চক্রের দিকে তাকাতে হচ্ছে। সেখান থেকে বলতে গেলে, এই মুহূর্তে ওকস আমাদের পরিকল্পনায় নেই।”
ওকসের বয়স এখন ৩৫, আর পরের অ্যাশেজ শেষে বয়স হবে ৩৭। দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ারে তিনি ৬২ ম্যাচে ১৯২ উইকেট নিয়েছেন, ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন পাঁচবার ও একটি ম্যাচে ১০ উইকেটও রয়েছে তার ঝুলিতে। ব্যাট হাতেও করেছেন ২ হাজার ৩৪ রান, একটি সেঞ্চুরি ও সাতটি ফিফটি রয়েছে তার নামের পাশে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুইশ উইকেটের দুয়ারেই থেমে যেতে হচ্ছে তাকে।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আগেই জায়গা হারিয়েছিলেন ওকস। ফলে ইংল্যান্ডের হয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার এখানেই থেমে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।
এদিকে ঘোষিত স্কোয়াডে আরেকটি আলোচিত সিদ্ধান্ত হলো অলিভার পোপের পরিবর্তে হ্যারি ব্রুককে সহ-অধিনায়ক করা। সীমিত ওভারের দলের অধিনায়ক ব্রুককে টেস্ট অধিনায়কত্বের ভবিষ্যৎ উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। রব কি জানান,
“ব্রুকের এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা বেশি। আমার মনে হয়, সহ-অধিনায়ক হিসেবে এই দায়িত্ব তার প্রাপ্য। অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই, আমরা শুধু মনে করি ব্রুক সামনের পথচলায় আরও ভালো নেতা হয়ে উঠবে।”
ইংল্যান্ড ক্রিকেটের এই নতুন পরিকল্পনা যেমন ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে এগোচ্ছে, তেমনি ক্রিস ওকসের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কাও ক্রমশ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।