বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা ঘিরে কলকাতার বড় থেকে ছোট ক্লাবগুলোতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। শুধু প্যান্ডেল সাজানো বা পুজোর আয়োজন নয়, এই উৎসব ব্যবসারও এক বড় দিক—তারকাদের দিয়ে উদ্বোধন করানো। দর্শকরা প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গে সরাসরি দেখা পেতে এই মণ্ডপগুলোতে উপচে পড়া ভিড় তৈরি করেন। সেই জন্যই প্রতি বছরই ক্লাবগুলো তারকাদের নিয়ে উৎসব উদ্বোধনের প্রতিযোগিতা চালায়।
প্রতিবারের মতো এ বছরও বড় পর্দার তারকাদের পারিশ্রমিক চোখে পড়ার মতো। শোনা যাচ্ছে, কোয়েল মল্লিক পূজা উদ্বোধনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেন। বাংলাদেশি টাকায় তিনি প্রায় পৌনে সাত লাখ টাকা দাবি করেন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দেবের পারিশ্রমিক প্রায় সোয়া চার লাখ টাকা। মিমি চক্রবর্তী উদ্বোধনের জন্য নেন সাড়ে তিন লাখ টাকা, আর শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় প্রায় সোয়া চার লাখ টাকা দাবি করেন।
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের পারিশ্রমিক দাঁড়ায় পৌনে তিন লাখ টাকা, অঙ্কুশ হাজরাও নেন সমান অঙ্ক। সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যশ দাশগুপ্তর পারিশ্রমিক প্রায় দুই লাখ টাকা।
ছোট পর্দার তারকাদের খরচ অবশ্য তুলনামূলকভাবে কম। ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা ও TRP অনুযায়ী তাদের পারিশ্রমিক নির্ধারিত হয়। ‘জগদ্ধাত্রী’ অর্থাৎ অঙ্কিতা মল্লিক চার্জ করেন প্রায় ৬৫ হাজার টাকা। ধারাবাহিক ‘কথা’-র সুস্মিতা দে নেন ৬০ হাজার, সাহেব ভট্টাচার্য এবং রাজনন্দিনী দত্তর পারিশ্রমিক প্রায় ১ লাখ টাকা। আলোচিত জুটি দিতিপ্রিয়া রায় ও জিতু কামাল নেন সোয়া এক লাখ টাকা। শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায় চার্জ করেন ৬০ হাজার, স্বস্তিকা দত্ত ও পল্লবী শর্মার পারিশ্রমিক ৭০ হাজারের কাছাকাছি।
পূজা উদ্বোধনের জন্য তারকাদের বুকিং প্রায় তিন মাস আগে থেকে শুরু হয়। পারিশ্রমিকের অঙ্ক শহর ও ক্লাবের দূরত্ব অনুযায়ী সামান্য ওঠানামা করে। এ বছরের বুকিং প্রায় শেষ হলেও, আগামী বছরের প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাবগুলো ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা শুরু করেছে।