ঢাকার যানজটে প্রতিদিন প্রায় ২ শত কোটি টাকা ক্ষতি হয়। এমন নির্মম বাস্তবতা তৈরি হয়েছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও ট্র্যাফিক ব্যবস্থার কারণে। ষোলো বছর ধরে রাজনীতির নামে অপরাজনীতি, দেশ পরিচালনার নামে মানুষকে কষ্টের আগুনে ফেলে শোষণ করেছে ছাত্র-যুব-জনতা বিরোধী পুলিশ-প্রশাসনের একটি বড়ো অংশ। সেই অংশটির কারণে ক্রমশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছাত্র-যুব-জনতারই একটি বড়ো অংশ। শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকার যানজটের কারণে দেশের সামগ্রিক জিডিপি প্রায় ৩.২ শতাংশ হ্রাস পায় এবং প্রতিদিন ট্র্যাফিক জ্যামের কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়া কর্মঘণ্টায় আর্থিক মূল্য প্রায় ২ শত কোটি টাকা। যদি দেশের রাজনীতি-শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও অর্থনীতি সচেতন নাগরিক হিসেবে বলতে যাই, তাহলে দেখা যাবে দেশের জিডিপিতে ঢাকার অবদান প্রায় ২৫ শতাংশ হলে, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, যানজট ও অপ্রতুল পরিষেবার জন্য এ এলাকার ব্যাবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সড়কের খোঁড়াখুঁড়ি, অবৈধ ফুটপাত দখল, অপরিকল্পিত গাড়ি পার্কিং, অপ্রতুল সড়ক অবকাঠামো ও অকার্যকর ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার কারণে বিশেষ করে পুরোনো ঢাকায় সৃষ্ট যানজট পরিস্থিতি ব্যাবসা পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এ সমস্যা থেকে উত্তরণে স্মার্ট ট্র্যাফিক সিস্টেম চালুকরণ, নদীপথের ব্যবহার বাড়ানো এবং পুরোনো ঢাকার প্রধান সরু ও ব্যস্ত সড়কে একমুখী ট্র্যাফিক ব্যবস্থা চালুকরণের প্রস্তাব করে আসছে সেভ দ্য রোড নামক দেশের অন্যতম সচেতনতা- স্বেচ্ছাসেবী ও গবেষণা সংগঠন। সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে গত ১৮ বছর ধরে রাস্তা প্রশস্ত করার প্রস্তাব থাকলেও তা শোনেনি শেখ হাসিনার সরকার; এখনো শুনছে না ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বরং আগের মতই অপরিকল্পিত পদক্ষেপের মাধ্যমে মানুষের রক্ত পানি করা কোটি কোটি টাকা অপচয় করা হচ্ছে বিভিন্নভাবে। তারই একটি হলো- সহায়ক ট্র্যাফিক পুলিশ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ৭০০ জন। এই নিয়োগ দেওয়ার আগে বলা হয়েছিল- রাজধানীতে সহায়ক ট্র্যাফিক পুলিশ সদস্য হিসেবে ৬০০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। তারা প্রত্যেকে প্রতিদিন ৫৬০ টাকা করে পাবেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একটি প্রস্তাবে গ্রহণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে এ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে’ বলেও জানানো হয়েছিল। প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা করে ২ শিফটে কাজ করা এই সহায়তাকারীদের জন্য প্রতিদিন খরচ হচ্ছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। কিন্তু তাতে কী জ্যাম কমেছে? একবিন্দু পরিমাণও কমেনি বরং বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। কেননা, ট্র্যাফিক পুলিশে যে পরিমাণ জনবল আছে, সেই জনবলই মূলত কাজ করে। আর ট্র্যাফিক সহায়তাকারী গ্রুপটি দাঁড়িয়ে থাকে আড্ডায় দেয়- ভোগান্তি তৈরির মত বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। তা ছাড়া এতে করে ট্র্যাফিক সহায়তাকারী গ্রুপের সদস্যদের পড়ালেখা নষ্ট হচ্ছে। একটু খেয়াল করলে দেখবেন- তাদের ডিউটি টাইম যখন, তখনই মূলত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ক্লাশ হয়।
একজন সক্রিয় রাজনৈতিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক-মানবাধিকার ও গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে যতদূর জেনেছি- ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬-এর ১০ ধারা অনুযায়ী সহায়ক ট্র্যাফিক পুলিশ সদস্যদের দৈনিক ভাতার হার পুনঃ উপযোজন ও অর্থ ব্যয়ের অনুমতি দেওয়ার জন্য অর্থ বিভাগের বাজেট-১ শাখায় চিঠি দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে বাজেট শাখা ভাতার হার নির্ধারণের মতামতের জন্য প্রবিধি অনুবিভাগে চিঠিটি পাঠায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ নভেম্বর তারিখে প্রবিধি অনুবিভাগ থেকে সহায়ক ট্র্যাফিক পুলিশের দৈনিক ভাতার হার নির্ধারণ করে বাজেট শাখায় চিঠি পাঠানো হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন এলাকায় ৩৩৯টি পয়েন্টে ৪ হাজার ১১৫ জন ট্র্যাফিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ৪ নভেম্বর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, শৃঙ্খলাজনিত কারণে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের ব্যবহার করতে পারছে না ডিএমপি। তাই, ঢাকার ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬-এর ১০ ধারা অনুযায়ী ৬০০ জন সহায়ক পুলিশ সদস্যের ভাতা নির্ধারণের জন্য অনুরোধ করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সূত্রে জানতে পেরেছি- সহায়ক পুলিশ সদস্যের সংখ্যা ৬০০ জন। তারা প্রতিদিন পালাক্রমে ৪ ঘণ্টা করে কাজ করবেন। প্রথম পালা সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পালা বিকেল ৪টা রাত ৮টা পর্যন্ত। প্রতিজন ৪ ঘণ্টা কর্মকালের জন্য ভ্যাট-ট্যাক্সসহ প্রতিদিন পাবেন ৫৬০ টাকা করে।
প্রথম বলা হয়েছিল আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ২৪৫ দিন এই নিয়োগ বহাল থাকবে। এতে মোট খরচ হবে ৮ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু আমরা পরে দেখলাম আরো সদস্য নিয়োগ হলো এবং সময় ও বাজেটও বাড়লো, সেই সাথে জ্যাম সমস্যা সমাধানের কোনো লক্ষণ তো দেখলামই না বরং দেখছি ছাত্র সহায়কদের সাথে সাধারণ মানুষের-চালকের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত আহতের সংখ্যা গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী শতাধিক। এই যদি হয় অবস্থা! তাহলে আমার টাকা কেন অপচয় হচ্ছে? এমন প্রশ্ন নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের মত আমারও। এখন কথা হলো- উত্তর কে দেবে? উত্তর যে দেবে, সে তো কারো তোয়াক্কা করে না। বরং কিছু বললে, তার বিরুদ্ধে গেলে সরাসরি বলে- ‘দালাল’ বা ‘দোসর’। এই ট্যাগের ভয়ে ট্র্যাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ (ঞঅএ) নিয়ে কেউ কোনো কথা বলে না। সেই সুযোগে গড়ে উঠেছে ছাত্রদের একটি রাস্তায় গল্পবলা আর আড্ডা দেয়া গ্রুপ। এই গ্রুপটির পোশাক তৈরিতেও সরকার কোটি টাকা খরচ করেছে বলে জানতে পেরেছি। অথচ এই ট্র্যাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ (ঞঅএ) শর্তসাপেক্ষে অর্থ বিভাগ প্রশাসনিক বিভাগের পক্ষ থেকে কিছু শর্তগুলো দেয়া হয়েছে- (১) শুধু জরুরি ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহায়ক ট্র্যাফিক পুলিশের নিয়োজিতকরণ প্রযোজ্য হবে। (২) সহায়ক ট্র্যাফিক পুলিশের জন্য বর্ণিত ভাতা তাদের কর্মে নিয়োজনের তারিখ থেকে কার্যকর হবে এবং ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। (৩) সহায়ক ট্র্যাফিক পুলিশ হিসেবে এ নিয়োজিতকরণ সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে হবে। (৮) সংস্থার নিজস্ব রিসোর্স সিলিংয়ের মধ্যে এ ব্যয় নির্বাহ করতে হবে এবং এ বাবদ অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি করা যাবে না। (৫) এ ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। (৬) এ ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। (৭) সহায়ক ট্র্যাফিক পুলিশ সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট/মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ভাতা দিতে হবে। পথে চলতে ফিরতে যতদূর দেখেছি- আমার কখনোই মনে হয়নি এই ট্র্যাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ (ঞঅএ) টির মাধ্যমে মানুষের উপকারের পরিবর্তে তাদের রক্ত পানি করা উপার্জিত অর্থ অপচয় করা হচ্ছে।
নবাগত সদস্যদের সাথে তেজগাঁও ট্র্যাফিক বিভাগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৮ মে ২০২৫ তারিখে। তেজগাঁও ট্র্যাফিক বিভাগের কার্যালয়ে নবনিযুক্ত ট্র্যাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ (ঞঅএ) এর সদস্যদের সাথে উক্ত মতবিনিময় সভায় আপ্যায়ন খরচও হয়েছে আমজনতার টাকায়। কিন্তু সেই মতবিনিময়ের পর কি রেজাল্ট এসেছে আমাদের ঘরে? কোনো সুফল পায়নি বাংলাদেশ। অথচ তেজগাঁও ট্র্যাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম সেই মতবিনিময় সভায় বলেছিলেন- ‘প্রথমেই নিজের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিতে হবে। ধুলাবালিময় পরিবেশে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। জনসাধারণের সঙ্গে আচরণে সর্বদা ধৈর্য ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে এবং যে-কোনো বিতর্ক এড়িয়ে চলতে হবে। সমস্যার সম্মুখীন হলে দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। পেশাদার মনোভাব, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।’ কিন্তু ইতিবাচক পরিবর্তন তো নয়-ই; বরং নেতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। যার কারণে বেড়েছে সড়কে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। একজন পথচারী হিসেবে বললে বলবো- ট্র্যাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ (ঞঅএ) যানজট নিরসনে সহায়তা করে ট্র্যাফিক নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করার পরিবর্তে যে, জনগণের ভোগান্তির কারণ হচ্ছে তা যে কোনো নাগরিক বুঝতে পারলেও বলছে না; পাছে আবার মবস্ত্রংাস-এর শিকার হতে হয়। কেননা, ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে তারা রিকশাচালক, যাত্রাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে মব করে পরে সেই যাত্রী, পথচারী বা চালককেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ বা ভিডিওর মাধ্যমে অপরাধী সাব্যস্ত করেছে।
এই গ্রুপ তাদের সদস্যদের মাধ্যমে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে এবং তাদের পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতার এমন কোনো নিদর্শন নির্মাণ করতে পারেনি; যাতে করে মহাখালি থেকে শুরু করে পুরানা পল্টন বা বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলিস্তানকে যানজট মুক্ত করতে পেরেছেন। তবে ভয়াবহ হলেও সত্য যে, আগের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের মতই নতুন লাইনম্যান গজিয়ে উঠতে দেখা গেছে এই - ট্র্যাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ (ঞঅএ) -এর যোগসাজশে। যেখানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে জুলাইযোদ্ধা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এক ব্যক্তি পুরো রেডক্রিসেন্টকেই জিম্মি করার চেষ্টা করেছিল। শোনা যাচ্ছে এই - ট্র্যাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ (ঞঅএ) ুএর সদস্যরা নিজেদের নিয়োগ স্থায়ী করার জন্য তাদের রাজনৈতিক নিয়োগকৃত প্লাটফর্ম এনসিপি দ্বারা অনুপ্রাণিত হচ্ছে। আমি মোটেই অবাক হবো না, যদি এই জুলাইযোদ্ধা খ্যাত - ট্র্যাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ (ঞঅএ) -এর সদস্যরা রাস্তা বন্ধ করে নিকট ভবিষ্যতে আন্দোলন করলে। যদি গভীরে যান, দেখবেন আপনারটা খাবে, আপনারটা পরবে আবার আপনার-ই ক্ষতি করবে; এমন-ই একটি গোষ্ঠী হলো এই - ট্র্যাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ (ঞঅএ)। অতএব, বাংলাদেশের রাস্তা থেকে যানজট কমাতে - ট্র্যাফিক সহায়তাকারী গ্রুপ (ঞঅএ) নয়; সুপরিকল্পিত পদক্ষেপের মাধ্যমে রাস্তা প্রশস্ত করা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাসহ সংশ্লিষ্ট বাহনগুলো যেন নতুন করে আর তৈরি ও বিপণন না হতে পারে এজন্য পার্টস আমদানি বন্ধ করা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাকে মেইনরোডে কোনোভাবেই চলতে না দিয়ে এলাকাভিত্তিক লাইসেন্স-এর মাধ্যমে চালানোর ব্যবস্থা করা এবং সকল রাস্তা-ব্রিজ সংস্কার করার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। সেই সাথে প্রয়োজনে আমার মতো দীর্ঘদিন যাবৎ সড়ক- রেল ও নৌপথকে দুর্ঘটনামুক্ত করার জন্য নিবেদিত ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনগুলোকেও যুক্ত করলে ভোগান্তি কমবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। সেই সাথে বাংলাদেশের মানুষের প্রতিদিনের প্রায় ২ শত কোটি টাকা-কর্মঘণ্টা বাঁচবে, মানুষ সুস্থ থাকবে বলেও দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। উপদেষ্টা ফাওজুলসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান- দেশ বাঁচান, দেশের মানুষের জন্য নির্মল পরিবেশে দিতে সুপরিকল্পিত পদক্ষেপে এগিয়ে চলুন নিরন্তর...
লেখক: মোমিন মেহেদী