ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভ। নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ও সফল। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও একসময় তিনি সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন। চলচ্চিত্র অভিনয়ের আগে ছোটপর্দার অভিনেতা হিসেবে বেশ প্রশংসিত ছিলেন। তবে তার সাফল্যের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ পথচলার গল্প, রয়েছে সংগ্রাম, পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসের অনন্য উদাহরণ। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ও ‘মিশন এক্সট্রিম’-এর মতো অ্যাকশন ধর্মী সিনেমা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন তিনি। শুভ যেন প্রতিনিয়ত নিজেকে ভাঙছেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক সিনেমাতেও অভিনয় করছেন। এখন তিনি বলিউড অভিনেতা। সম্প্রতি মোটিভেশনাল ট্রেইনার ডন সামদানি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন শুভ। সেখানে নিজের জীবনের শুরুর দিনগুলোর কথা হাসিমুখে স্মরণ করেন। কীভাবে তিনি প্রডাকশনের একদম নিচের স্তর থেকে উঠে এসেছেন, সেই গল্প শুনিয়েছেন। স্মৃতিচারণ করে শুভ বলেন, আমি একসময় প্রডাকশনে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করতাম। কাজটা ছিল ছোট, কিন্তু শেখার আগ্রহ ছিল বিশাল। কখনো পানি দেওয়া, কখনো শিল্পীর স্যান্ডেল পরিষ্কার করা-এসবই ছিল আমার দায়িত্ব। আমি তখন ছিলাম প্রডাকশনের ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা! তিনি আরও বলেন, জীবনের চক্র ঠিক এমনই-যদি স্বপ্ন বড় হয়, পরিশ্রম করলে সেটি একদিন বাস্তব হয়ে ওঠে। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা আরিফিন শুভ পরে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয় জয় করেন। ২০১৩ সালে ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘ব্ল্যাক ওয়ার’সহ একাধিক সফল সিনেমায় অভিনয় করেছেন শুভ। আরিফিন শুভকে সবশেষ দেখা যায় গেল কোরবানি ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নীলচক্র’ সিনেমায়। এই সিনেমায় মন্দিরা চক্রবর্তীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন তিনি।