গর্ভধারণের আগে এই ৫টি বিষয় নিশ্চিত করুন

এফএনএস লাইফস্টাইল | প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ০৮:১৯ এএম
গর্ভধারণের আগে এই ৫টি বিষয় নিশ্চিত করুন

সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত কি শুধু পরিবারের চাপে, নাকি আপনার নিজের ইচ্ছা-সক্ষমতা ও পূর্ব প্রস্তুতির ভিত্তিতে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে নিলেই বোঝা যায়, বাবা-মা হওয়ার মতো বড় সিদ্ধান্তের পথে আপনি কতটা এগিয়েছেন। দাম্পত্য জীবনে বছর পার না হতেই অনেকে সন্তানের কথা ভাবেন। পরিবারের প্রবীণ সদস্যরাও এ নিয়ে মতামত দিতে শুরু করেন। কিন্তু সন্তান জন্ম দেওয়ার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাকে সঠিকভাবে বড় করে তোলা; যা কেবল সিদ্ধান্ত নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি দায়িত্ব। তাই বাবা-মা হওয়ার পরিকল্পনার আগে কিছু জরুরি বিষয় ভেবে দেখা প্রয়োজন। বাবা-মা হওয়ার আগে যে ৫টি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি-


সম্পর্কের ভিত্তি কতটা দৃঢ়?

সন্তান এলে সম্পর্ক আরও ভালো হবে-এই ধারণা ভিত্তিহীন। সম্পর্কের টানাপোড়েন মেটাতে সন্তানকে ব্যবহার করা কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়।


চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত নয়

পরিবার, বন্ধু বা সমাজের কথায় নয়-আপনারা দু’জন সত্যিই সন্তান চান কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর আগে নিজেরাই খুঁজে নিন।


শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করুন

সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনার আগে দু’জনের শারীরিক সুস্থতা জানা জরুরি। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শুরু করুন।


আর্থিক পরিকল্পনা 

সন্তান লালন-পালনে খরচ কম নয়। তাই দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতি কেমন, ভবিষ্যৎ ব্যয় সামলানো সম্ভব কি না-এসব আগে থেকেই বিবেচনা করতে হবে।


কর্মস্থলে গেলে সন্তানের দেখাশোনা

সন্তান শুধু একজনের দায় নয়। মা ও বাবা দু’জনেরই সমান দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার মানসিক প্রস্তুতি থাকতে হবে। তাই ঠান্ডা মাথায় খোলামেলা আলোচনা করাই শ্রেয়। বর্তমানে নারী-পুরুষ উভয়েই কর্মজীবী। দু’জন কর্মস্থলে গেলে সন্তানের দেখাশোনা করবে কে-এ প্রশ্নের উত্তর সন্তান জন্মের আগেই খুঁজে নেওয়া উচিত, নইলে পরবর্তী সময়ে সম্পর্কে অচ্ছন্নতা দেখা দিতে পারে।


সন্তান মানে দায়িত্বের পরিধি হঠাৎ বহু গুণ বেড়ে যাওয়া। সেই ভার বহন করার মানসিক শক্তি ও প্রস্তুতি আছে কি না, সেটিও ভালোভাবে ভেবে নিন। সন্তান জন্ম দেওয়া সহজ, কিন্তু তাকে মানুষ করে তোলা এক আজীবন প্রতিশ্রুতি। তাই স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিন, প্রস্তুতি নিন মন থেকে- তারপরই শুরু করুন নতুন জীবনের যাত্রা।