ডেঙ্গুতে আরও চার জনের মৃত্যু, এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি ৯২০ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
ডেঙ্গুতে আরও চার জনের মৃত্যু, এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি ৯২০ জন

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশজুড়ে নানা প্রস্তুতি চললেও ডেঙ্গুর পরিস্থিতি এখনও চিন্তার কারণ হয়ে আছে। মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রতিবেদন জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২০ জন।

চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে হাসপাতাল ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিভিন্ন বিভাগে আক্রান্ত রোগী ছড়িয়ে থাকলেও সবচেয়ে বেশি রোগী মিলেছে ঢাকা ও বরিশাল অঞ্চলে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এক দিনে বরিশাল বিভাগে ১৪৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১৬ জন, ঢাকা বিভাগের সিটি করপোরেশনের বাইরে ১৪৭ জন ভর্তি হয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২১১ জন এবং দক্ষিণ সিটিতে ১৫১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। পাশাপাশি খুলনা বিভাগে ৭২ জন, ময়মনসিংহে ৬৫ জন, সিলেটে ১০ জন এবং রংপুর বিভাগে দুজন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এক দিনে ৯৮৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে মোট ছাড়পত্রপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩ হাজার ৫৯৭ জন। বছরের শুরু থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯২৪ জন।

বিভিন্ন মাসে মৃত্যুর যে প্রবণতা দেখা গেছে তাতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪৩ জন। এর মধ্যে গত অক্টোবর মাসেই মারা গেছেন ৮০ জন যা এক মাসে সর্বোচ্চ। নভেম্বরেও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টার চার জন মৃত্যুর মধ্যে একজন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এবং অন্যজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, “ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে, একই সঙ্গে মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে সবাইকে সচেতন হতে হবে।”

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এডিস মশার বিস্তার ঠেকাতে নগর ও পৌর এলাকায় সমন্বিত উদ্যোগ না নিলে রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তারা জানিয়েছেন, আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬২ দশমিক তিন শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক সাত শতাংশ নারী।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে