রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে হওয়া এই ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানীর বাড্ডা। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩ এবং গভীরতা ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তরও নিশ্চিত করেছে যে এটি মৃদু মাত্রার কম্পন, যা মুহূর্তের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অনুভূত হয়।
সারাদিনে এটি ছিল দ্বিতীয় ভূমিকম্প। এর আগে শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে ঢাকার উপকণ্ঠ আশুলিয়ার বাইপাইলে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন গবেষণা কেন্দ্র জানায়, আগের দিনের বড় ভূমিকম্পের পর এটি ছিল একটি আফটারশক।
এর আগে রোববার ২১ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ওই কম্পনে বিভিন্ন ভবনে ফাটল ধরে, প্রাণহানি ঘটে ১০ জনের এবং আহত হন কয়েকশ মানুষ। তার ঠিক একদিন পর আবার পরপর দুটি ভূমিকম্পে অস্থির হয়ে উঠেছে মানুষের মনে আতঙ্ক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লঘুচাপে হলেও স্বল্প সময়ের ব্যবধানে একাধিক কম্পন অনুভূত হওয়া ভূত্বকের অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয়। ভূকম্পন গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবায়েত কবির বলেন, শুক্রবারের বড় ভূমিকম্পের পর কিছুদিন আঘাত-প্রতিঘাত চলতে পারে। তার ভাষায়, “এ ধরনের আফটারশক হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে ভূমিকম্পের মাত্রা ও কেন্দ্রের অবস্থান পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।”
ইউএসজিএস এবং ইএমএসসি–র পৃথক তথ্যেও শনিবার সন্ধ্যার কম্পনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বাড্ডার অবস্থানই নিশ্চিত করা হয়েছে। মুহূর্তের কম্পন হলেও রাজধানীর অনেক এলাকায় মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। বিশেষ করে গত দুই দিনের অভিজ্ঞতার পর নগরবাসীর মাঝে শঙ্কা আরও বেড়েছে।