এনসিপি প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা, প্রশাসনের ওপর পক্ষপাতের অভিযোগ নাসীরুদ্দীনের

জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে হুমকি ধমকির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। রোববার ২৩ নভেম্বর সকালে রাজধানীর আবু সাইদ কনভেনশন হলে কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রশাসনে থাকা আওয়ামী নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অপসারণ না হওয়ায় প্রার্থীরা মাঠে স্বচ্ছ পরিবেশ পাচ্ছেন না।

সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নকে জরুরি উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন বলেন, সংস্কার সরকারের দায়িত্ব হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতির ঘাটতি পুরো প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি জানান, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে যারা লড়াই করেছেন এবং যারা পরিবর্তনের স্পিরিট ধরে রেখেছেন, তাদের সংসদে যাওয়াই সময়ের দাবি। তার ভাষায়, “আমরা সংসদে গেলে সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাবো।”

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী মনোনয়ন ও সাংগঠনিক প্রস্তুতির চিত্রও তুলে ধরা হয়। এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা জানান, মনোনয়ন প্রত্যাশী এক হাজার চারশো চুরাশি জন ফরম কিনেছেন। তিনি বলেন, এই দিন এবং পরদিন আবু সাইদ কনভেনশন হলে সাক্ষাৎকার হবে, এরপর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

পাটওয়ারী জানান, তাদের সবচেয়ে বড় চমক হলো সৎ প্রার্থী বাছাই। তার দাবি, পাঁচ দশমিক তিন বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো দল এত বড় পরিবর্তনের উদাহরণ দেখাতে পারেনি। তিনি বলেন, বড় দলগুলো পুরনো ধারায় প্রার্থী বেছে নিচ্ছে, বিপরীতে এনসিপি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং দায়িত্বশীল প্রার্থী নির্বাচন করছে।

এসময় এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ব্যালট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দলটি সংসদে শক্ত অবস্থান তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। সংগঠনের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

নাসীরুদ্দীন আরও বলেন, বিচার বিভাগ এখনও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তিনি উল্লেখ করেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা রাস্তায় লড়েছেন এবং মানুষের অধিকারের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের সংসদে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। তার কথায়, “সংস্কার, বিচার, নির্বাচন আমাদের দাবি ছিল। দুইটি প্রক্রিয়া শেষ করে এখন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি।”