বঙ্গোপসাগর ও সিলেটে ভূমিকম্প

এফএনএস অনলাইন: | প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর, ২০২৫, ০১:১০ পিএম
বঙ্গোপসাগর ও সিলেটে ভূমিকম্প

নরসিংদীতে ভূমিকম্পের সপ্তাহ না পেরোতেই আবারও মাত্র এক মিনিটের ব্যবধানে বঙ্গোপসাগর ও সিলেটে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে। একইসঙ্গে  টেকনাফ ও সিলেটের বাসিন্দারা এ কম্পন অনুভব করেছেন। 

সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে ৩ দশমিক ৪ মাত্রার এ কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মনিপুরে। এই ভূমিকম্পটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তেমন অনুভূত হয়নি। এ ধরনের ভূমিকম্প প্রায় হয়ে থাকে যা প্রজ্ঞাপন করা হয় না।

৫.৭ মাত্রার ভূমকম্পের পরপর আরও দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে, এরপর মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে আবার বঙ্গোপসাগর ও সিলেটে একইসঙ্গে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, গভীর রাতে বঙ্গোপসাগর এলাকায় আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৪.০। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিলো মাত্র ১০ কিলোমিটার। আর কেন্দ্র থেকে টেকনাফের দূরত্ব ছিল ১২৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

একই তথ্য জানিয়েছে ভারতের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজিও। সংস্থাটি জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে আঘাত হানা ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে দেশটির ত্রিপুরার বিলোনিয়া শহরের দূরত্ব ছিলো ৩৩৪ কিলোমিটার দক্ষিণে।

অন্যদিকে ভারতের মেঘালয়ে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্প, যেটি সিলেটের বাসিন্দারাও অনুভব করেছেন, তার মাত্রা ছিলো ৩.৪। কেন্দ্র থেকে সিলেটের দূরত্ব ছিলো ২৪ কিলোমিটার উত্তরে।

বিশেষজ্ঞরা বার বারই বলে আসছেন, ডাউকি চ্যুতি ভারতের মেঘালয় অঙ্গরাজ্যে (বাংলাদেশের উত্তরে) শিলং মালভূমির দক্ষিণ সীমানা বরাবর একটি প্রধান ভূ-চ্যুতি যা উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশসহ সংলগ্ন অঞ্চলের জন্য বিধ্বংসী ভূমিকম্পের ঝুঁকির উৎস হতে পারে।

তবে সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন একাত্তরকে বলেছেন, সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে এমন কোনো ডাটা আমাদের অফিসে রেকর্ড হয়নি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে