শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের অভাবে সিজার বন্ধ

এফএনএস (মফিজুল ইসলাম; শৈলকুপা, ঝিনাইদহ) : | প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের অভাবে সিজার বন্ধ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা  কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও জনবল সংকটে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে।  অজ্ঞান ডাক্তার না থাকার কারণে দীর্ঘদিন রয়েছে গর্ভবতী মহিলাদের  সিজার অপারেশন বন্ধ। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার নেই । ১১ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে উপজেলার  পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  এখানে সরকারি অনুমোদিত কনসালট্যান্ট ও ডাক্তারসহ মোট ৩৭টি পদ থাকলেও আছে মাত্র ১১ জন।  বর্তমানে এসব  পদের মধ্যে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেস্থেসিস্ট), জুনিয়র কনসালট্যান্ট, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (চর্ম-যৌন) , জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থপেডিক্স), জুনিয়র কনসালট্যান্ট ইএনটি, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (চক্ষু), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলোজি)সহ মোট ১০ জন কনসালট্যান্টের মধ্যে কর্মরত আছেন শুধু একজন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলোজি), তাও আবার ডেপুটেশনে তিনদিন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে কর্মরত থাকেন।  বাকি দুইদিন শৈলকুপা হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন। একটি পৌরসভা ও ১৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত শৈলকুপা উপজেলা যার লোক সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ। এতজনসংখ্যার স্বাস্থ্য সুরক্ষার একমাত্র নিরাপদ চিকিৎসাস্থল হওয়ার কথা ছিল এ হাসপাতালটির, অথচ ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় জনবল সংকটের কারণে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারছে না এ হাসপাতালটি । ডাক্তার না থাকায় প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে আসা শত শত রোগী চিকিৎসাসেবা না পেয়ে চরম হতাশা ও অসুখ-বিসুখ নিয়ে চিকিৎসাবিহীন অথবা অনভিজ্ঞ স্বাস্থ্য সহকারীর নামমাত্র চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে । এদিকে আরএমও ডা. আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, প্রতিদিন আউটডোরে তিন থেকে সাড়ে তিনশ রোগী আমাদের দেখতে হয়। ইনডোরে ৫০টি বেড আছে। কিন্তু শতাধিক রোগী ভর্তি থাকায় অধিকাংশ রোগীকে ফ্লোরিং করতে হয়। তিনি আরো বলেন, রোগীকে আমরা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ ওষুধ দিতে পারি, বাকি ওষুধ রোগীকেই কিনতে হয়। বগুড়া গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা গর্ভবতী সাফিয়া  খাতুন জানান তিনি সিজারের জন্য  হাসপাতালে এসেছিলেন কিন্তু ডাক্তার না থাকার কারণে তার সিজার করা সম্ভব হয়নি। তিনি এখন ক্লিনিকের উপর ভরসা করছেন তাতে তার খরচ বেড়ে যাবে। 

শৈলকুপা হাসপাতালে বর্তমানে কর্মরত ইউএইচএন্ডএফপিও মেডিকেল অফিসার দুইজন, সহকারী সার্জন চারজন, ডেন্টাল সার্জন একজন, এমও (হোমিও) একজন, আর এমও একজন মোট ১১ জন চিকিৎসক দ্বারা কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে শৈলকুপার পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদ আল মামুন জানান দীর্ঘদিন ধরে এখানে অজ্ঞান  ডাক্তার না থাকার কারণে  গর্ভবতী মহিলাদের সিজার বন্ধ থাকায় গর্ভবতী মহিলারা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত শিকার হচ্ছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে