ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ইইউ সময়মতো, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে সমর্থন করে এবং এবারের নির্বাচনকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে।
বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধিরা জানান, নির্বাচন কমিশনের পেশাদারিত্ব ও সক্ষমতার প্রতি তাদের আস্থা আছে। একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নসংক্রান্ত গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতি দেখে তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন। মাইকেল মিলার বলেন, “ইসির প্রস্তুতি দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। সংসদ নির্বাচন ও গণভোট, দুইয়ের চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে কমিশন যে প্রস্তুতি নিয়েছে তা প্রশংসার যোগ্য।”
এর আগে গত সপ্তাহে শেরেবাংলানগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত মক ভোটিং পরিদর্শন করেছিলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। আজকের বৈঠকে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন পরিচালনায় ইসির অঙ্গীকার ও পেশাদারিত্ব ইইউকে আশাবাদী করেছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বহু বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ এসেছে। সব অংশীজনকে এ সুযোগকে গুরুত্ব দিতে হবে।”
ইইউ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে একটি বড় প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। মিলার জানান, ভোটের দিনে নিরাপত্তা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাওয়া নতুন ভোটারদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করাকেই ইইউ বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে। তবে নির্বাচন কমিশন যে ভোট গ্রহণের সময় বৃদ্ধি করেছে, সেটিকে তিনি ‘প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বৈঠকে সিইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচনের সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় কমিশন প্রস্তুত এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছে।
ইইউ প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজনকে তারা ইতিবাচকভাবে দেখছে এবং নির্বাচনের সার্বিক প্রক্রিয়ায় ইইউ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।