হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে নির্বাচনী উত্তাপ ক্রমশ বাড়লেও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সাংসদ সৈয়দ মোঃ ফয়সল সুসমন্বিত প্রচার, তৃণমূল ঐক্য সুদৃঢ়করণ এবং পরিকল্পিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ভোটারদের মাঝে নতুন আস্থা তৈরি করেছেন। এলাকাভিত্তিক সমস্যা শনাক্ত করে বাস্তবসম্মত সমাধানের রূপরেখা উপস্থাপন, তরুণ-নারীদের জন্য পৃথক উদ্যোগ এবং চা-শ্রমিক অধ্যুষিত অঞ্চলের জন্য বিশেষ কৌশল-এসব কারণেই তার প্রচার কার্যক্রম এখন আসনের আলোচনার কেন্দ্রে। শুরু থেকেই তিনি দলীয় বিভাজন ও ভুল-বোঝাবুঝি দূর করতে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন, যার ফলে তৃণমূলের কর্মীরা আবারও সংগঠিতভাবে মাঠে নেমেছে বলে জানান ইউ/পি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ। রক্ষণশীল, ধর্মীয় ও নিরপেক্ষ ভোটারদের সঙ্গেও তিনি শান্তি, সহনশীলতা ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে যোগাযোগ করছেন। তার প্রচারে উসকানিমূলক বক্তব্যের অনুপস্থিতি ভোটারদের কাছে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে মত দেন জগদীশপুর জেসি হাইস্কুলের সাবেক শিক্ষক আজগর আলী। উঠান বৈঠক, পথসভা, জনসংযোগ-সব জায়গায় তিনি অতীতের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরছেন। ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপির সক্রিয় রাজনীতিতে থাকা ফয়সল বিভিন্ন সময় এলাকার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তরুণদের ভোটকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তিনি কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ, আইটি প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিস্তারের পরিকল্পনা দিয়েছেন, যা তরুণদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে। কলেজ ছাত্র মোজাম্মেল হক হিমেল বলেন,
তরুণ উদ্যোক্তা গড়ার পরিকল্পনাটি তাদের কাছে সময়োপযোগী ও বাস্তবধর্মী মনে হয়েছে। এ ছাড়া এলাকার তিনটি বড় সংকট-সড়ক যোগাযোগ, চা-শ্রমিকদের জীবনমান ও মজুরি সমস্যা এবং স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি-চিহ্নিত করে তিনি আলাদা কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংস্কার ও প্রশস্তকরণ, চা-শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। চা-শ্রমিক নেতা লাল মোহন বাক্তি বলেন, তিনি প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবায়নের পথও দেখান; এজন্য ২৩টি চা-বাগানের শ্রমিকরা এবার ধানের শীষকে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নারী ভোটারদের জন্য তিনি চারটি অগ্রাধিকারমূলক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন-নারীর স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং উদ্যোক্তা সহায়তা। সমাজসেবক ওমাইয়া ফেরদৌস বলেন, নারী উন্নয়ন বিষয়ে তার পরিকল্পনা স্পষ্ট হওয়ায় নারী ভোটারদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরো প্রচারণায় তিনি শৃঙ্খলা ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে বাড়ি-বাড়ি যোগাযোগ, গ্রামভিত্তিক সমন্বিত কমিটি এবং গণশুনানি-ধর্মী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান, এবার প্রচারে উত্তেজনা নয়, বরং শান্ত ও সংগঠিতভাবে মানুষের কাছে পৌঁছানোর প্রতিযোগিতা চলছে।
মাধবপুর পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল রনি বলেন, সৈয়দ মোঃ ফয়সল একজন সৎ, নির্ভীক ও জনপ্রিয় প্রার্থী; তাদের পরিবার বংশপরম্পরায় জনকল্যাণে কাজ করে আসছে এবং শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চা-শ্রমিক ও তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। ১৭ বছর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত মানুষ এবার পরিবর্তনের প্রত্যাশায় ধানের শীষের পক্ষে রয়েছে।
চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দিন শামসু বলেন, দলীয় ঐক্য, তৃণমূলের সমন্বয়, তরুণদের সাড়া, নারী ভোটারদের আস্থা এবং চা-শ্রমিকদের সমর্থন-সব মিলিয়ে ফয়সল এখন আসনের সবচেয়ে শক্ত অবস্থানের প্রার্থী।
বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ মোঃ ফয়সল বলেন, তারা উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চান; গণতন্ত্র, উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের ভিত্তিতে একটি নিরাপদ মাধবপুর-চুনারুঘাট গড়াই তার লক্ষ্য