পান বিড়ি কেনা-বেচা করেই অভাবের মাঝে দিন কাটে প্রতিবন্ধী জাকিরের

এফএনএস (সৈয়দ জাহিদুজ্জামান; দিঘলিয়া, খুলনা) : | প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৮:২৭ পিএম
পান বিড়ি কেনা-বেচা করেই অভাবের মাঝে দিন কাটে প্রতিবন্ধী জাকিরের

দু'পা হারিয়ে চার পায়ার দোকানে পান-বিড়ি বিক্রির উপার্জনে অভাব অনটনের মধ্যে নূুনফ্যানে জীবনযাপন করছেন দিঘলিয়া উপজেলার কাটানিপাড়ার বাসিন্দা প্রতিবন্ধী জাকির হোসেন। 

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি কাটানিপাড়ার বাসিন্দা প্রতিবন্ধী মোঃ জাকির হোসেন(৫৫)। তিনি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। তার পিতার নাম মোঃ সৈয়দ আলী। তিনি প্রতিবন্ধী হয়েও দোকানদারি করেই কোনোমতে কষ্টের মাঝে জীবনাতিপাত করছেন। 

জাকির হোসেনের দু'টি পা অচল। দিঘলিয়া উপজেলা সমাজ সেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী কার্ডের সুবিধা ছাড়া আর কোন কিছুই তিনি পান না বলে এ প্রতিবেদককে জানান। স্টার ২নং গেট বাজার দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের পার্শ্বে হুইল চেয়ারে বসে কাঠের দোকানে কোনরকম পান, সিগারেট, চানাচুর বিক্রি করে দিনপার করে যাচ্ছেন। তিনি মাঝে মাঝে পায়ের সমস্যার কারণে গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন অনেক টাকা খরচ করে তাকে স্বাস্থ্যসেবা নিতে হয়। তিনি একজন সুস্থ লোকের মত কাজ করতে বা চলাচল করতে পারেননা। তিনি চিরদিনের জন্য তার পা দুটি হারিয়েছেন।নিজ সক্ষমতায় চলাচলের শক্তি হারিয়েছেন। যেখানেই যাননা কেন সেখানেই হুইল চেয়ারে করে যেতে হয় তাকে। বর্তমানে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সাহায্যের প্রয়োজন।

এক সূত্র থেকে জানা যায়, অসুস্থ প্রতিবন্ধী জাকির হোসেনের স্ত্রী কিছু দিন আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বর্তমানে তিনি নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছেন। তিনি সকলের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।

জাকির হোসেন বলেন এ প্রতিবেদককে বলেন, যে যার স্থান থেকে পারেন আমাকে সাহায্য করবেন। আমার দুটো পা নেই। আমি যেন সকলের সহযোগিতায় সুন্দরভাবে বাঁচতে পারি। 

উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে জাকির হোসেনের পায়ের সুস্থতার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন যা তার পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব নয়। তিনি প্রতিবন্ধী হয়েও একটি টং দোকানের উপর নির্ভর করেই জীবন যুদ্ধের কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে চলেছেন।  সকল বিত্তবানদের কাছে জাকির হোসেনের নিবেদন তার জন্য দোয়া এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। দশের লাঠি একের বোঝা। জাকির হোসেনের নগদ একাউন্টস নম্বর-০১৯১৭৮৯৪৮৭১.

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে