বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কমরেড মাসুদ রানা বলেন,“ আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম যখন ক্রমান্বয়ে কমছে,তখন অন্তর্বর্তী সরকার ডিজেল- কেরোসিন-পেট্রোল- অকটেনের দাম লিটার প্রতি দুই টাকা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। অথচ কথা ছিলো,আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে,স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশেও কমবে।কিন্তু সরকার সে পথে না হেঁটে মূল্যবৃদ্ধির চাপে পিষ্ট জনগণের কাঁধে আরো মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপালো।জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সেচ খরচসহ কৃষকের উৎপাদন খরচ,শিল্পপণ্য,যাতায়াত গৃহস্থালী খরচ সব পণ্যের দাম আরেকদফা বাড়বে। সরকার এমন সময় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালো,যখন কয়েক বছর ধরে লাভে আছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সব খরচ বাদ দিয়ে বিপিসি নিট মুনাফা করেছে চার হাজার ৩১৬ কোটি টাকা। লাভে থাকার পরও আইএমএফের পরামর্শে সরকারী সেবা খাতে ভর্তুকি কমানোর নামে জ্বালানি তেলের এ মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তাই চূড়ান্ত জনবিরোধী। এছাড়া কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্টানগুলো সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। দাম বাড়ানোর পূর্বে সরকারের অনুমতি নেওয়ার নিয়ম থাকলেও,এক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে তারা কিছু জানতোনা।কিন্তু অনুমতি ছাড়া দাম বাড়ানোর পরও,এখন পর্যন্ত সরকারের দিক হতে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিতে আমরা দেখিনি। মুখে সংস্কার,বাজার নিয়ন্ত্রণের বুলি আওড়ালেও,বাস্তবে অতীত আওয়ামীলীগ সরকারের মতই বর্তমান সরকার আইএমএফসহ সাম্রাজ্যবাদী সংস্থা,দেশী বিদেশী পুঁজিপতিদের তোষণ করার নীতিতেই অর্থনীতি পরিচালনা করছে,যার সরাসরি ভুক্তভোগী হচ্ছে সীমিত আয়ের মানুষ। আমরা জনগণকে এ অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির বিরূদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাই।” কমরেড মাসুদ রানা অবিলম্বে জ্বালানি তেলের অযৌক্তিক বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার ও ঘোষণা ছাড়া দাম বাড়ানোয় সয়াবিনের আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরূদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।