ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক খন্দকার জিয়াউল ইসলাম মোহাম্মদ আলী জিয়া প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে তিনি ভোটারদের সাথে পরিচয় হচ্ছেন এবং ভোট প্রার্থানা করছেন। সেই সাথে ভোটারদের মধ্যে যাদের চোখের সমস্যা তাদের চোখ দেখে পরামর্শ প্রদান করছেন। যেহেতু তিনি একজন চক্ষু চিকিৎসা, সেহেতু তিনি এ চিকিৎসা প্রদান করছেন। সমাজের অনেকে এটি ভাল দিক হিসেবে নিয়েছেন।
সম্প্রতি চন্ডিপুর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে ওই গ্রামের এক ভোটারের চোখের সমস্যা শুনে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে চোখ দেখে পরামর্শ প্রদান করেন ডাক্তার জিয়া। এতে খুশি ওই পরিবারটি। পরিবারটির দাবি একজন চক্ষু ডাক্তারকে দেখাতে গেলে ৬০০ হতে ৮০০ টাকা ফি দিতে হত। অথচ সেখানে বিনামূল্যে পরামর্শ পাওয়া গেল। তাদের দাবি এই ধরণের লোককে এমপি হওয়া দরকার।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিএনপির এক সমর্থক বলেন, আগে থেকে যেহেতু ওনার নির্বাচন করা ইচ্ছা ছিল। সেই দিক থেকে মাসে দু’একদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করলে হয়তো ওনার নাম ডাক আরো ছড়িয়ে পড়ত। কিন্তু সেটি ডাক্তার জিয়া করেন নাই। মানুষের ভালবাসা পেতে গেলে মানুষকে ভালবাসতে হবে এটাই নিয়ম।
রামজীবন ইউনিয়নের বিএনপির কর্মী ইঞ্জিনিয়ার মো. রুবেল মিয়া বলেন, ডাক্তার জিয়া মানুষের জন্য কিছু করতে চান। সে কারনে ওনাকে সহযোগিতা করা আমাদের কর্তব্য। ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে বেশ কিছু সংখ্যক ভোটারের চোখের সমস্যার চিকিসা সেবা প্রদান করেছেন। এটি অত্যন্ত একটি ভাল দিক।
বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক খন্দকার জিয়াউল ইসলাম মোহাম্মদ আলী জিয়া বলেন, তিনি তাঁর এলাকার মানুষের জন্য কিছু করতে চান। সে জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। একজন চুক্ষ ডাক্তার হিসেবে তিনি এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে তাদের চোখের সমস্যা সমাধান করে দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।