লাভজনক চট্টগ্রাম বন্দর গোপন চুক্তির মাধ্যমে বিদেশী কোম্পানী কে ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদ ও ইজারা বাতিলের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ এর যমুনা অভিমুখে যাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা ও আক্রমণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ৫ দলীয় বাম জোট নেতৃবৃন্দ। জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক বিধান দাস, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সভাপতি এম এ সামাদ, সাধারণ সম্পাদক শাহীদুর রহমান, সোস্যালিস্ট পার্টি সভাপতি শাহীন আহমেদ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)সভাপতি তালেবুল ইসলাম ও সমতা পার্টি সভাপতি শামছুল হক এক যুক্ত বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনী আইন সংস্কার করে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে, সরকারের সেই দিকে কোন উদ্যোগ নেই। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থে আমাদের লাভজনক চট্টগ্রাম বন্দর গোপন চুক্তির মাধ্যমে বিদেশী কোম্পানীর কাছে ইজারা দেওয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দেশের জনগণ সরকারের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। ৪ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে, ইজারা বাতিলের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট সহ কয়েকটি বামপন্থী রাজনৈতিক দল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা অভিমুখে যাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে।জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত করে যথারীতি যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ কর্মসূচিতে বাঁধা প্রদান করে এবং হামলা চালায়। পুলিশের হামলায় সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কাফি রতনসহ অনেকেই আহত হয়। নেতৃবৃন্দ এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচন কালীন সরকার গঠনের জোর দাবী জানান। হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।