জামায়াত-শিবিরের হামলায় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)'র সভাপতি কমরেড সামাদ গুরুতর আহত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
| আপডেট: ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম | প্রকাশ: ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
জামায়াত-শিবিরের হামলায় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)'র সভাপতি কমরেড সামাদ গুরুতর আহত

প্রকাশ্য ভোট ডাকাতির ঘোষণার প্রতিবাদে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান ও জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী কে গ্রেফতার ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে পুর্ব ঘোষিত কর্মসুচী শনিবার (৬ ডিসেম্বর)  দুপুর ১২ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রেসক্লাবের দিক থেকে ৪০/৫০ জন জামাত শিবির প্রথমেই সাংবাদিক যারা ভিডিও করতেছিলো তাদের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে এলোপাথারি হামলা চালায়। বানার ছিনিয়ে নেয় এতে নেতাকর্মীরা দৌড়াদৌড়ি ও দিক বিদিক ছুটোছুটি করে। কমরেড সামাদ কয়েকজন নেতাকর্মীর সাথে তোপখানা রোডের দিকে দ্রুত যেতে থাকে মেট্রোরেলের রেলিং পার হওয়ার সময় বিএমএ ভবনের দিক থেকে কয়েকজন যুবক হাতুরী ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে সচিবালয়ের দিকে চলে যায়। কমরেড সামাদ মাথা ঘাড়ে মুখ নাকে আঘাত পায়। নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরন হয়। সাথে থাকা নারী নেত্রী রিনা, কমরেড শাহীন  আহমেদ ও মুফতি তালেবুল ইসলামও আহত হয়। নেতাকর্মীরা কমরেড সামাদকে ধরাধরি করে দ্রুত তোপখানা রোডে পার্টি অফিসে নেন। সেখান থেকে ধানমন্ডির একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীদের বলতে শোনা যায় তোদের কলিজা কতো বড়ো ডঃ শফিকুর রহমান এর গ্রেফতার চাস। শফিকুর এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, আগের দিন শেষ। হামলার আগে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, জামাতের আমির একটি সমাবেশে বলেছেন জনগন আমাদের ভোট দিক আর না দিক আমাদের ক্ষমতায় যেতেই হবে ইতিমধ্যে আমরা কিছুটা ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছি। জামায়াতের নেতা শাহজাহান চৌধুরী বলেন পুলিশ প্রশাসন, নির্বাচন কর্মকর্তা সবাইকে আমাদের কথা শুনতে হবে। আমরা যাকে গ্রেফতার করতে বলবো তাকে গ্রেফতার করতে হবে। আমরা যেভাবে বলবো সেভাবে নির্বাচনে দাঁড়ি পাল্লার পক্ষে কাজ করতে হবে। একজন সহকারী এটনী জেনারেল জামায়াত নেতা ওদিকে বলছেন আমরা জামায়াত শিবিরের যত লোক লাগে দিবো ওসি সাহেব আপনি টিম গঠন করবেন। এখানে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে সমন্বয় করে দাঁড়ি পাল্লার জন্য কাজ করতে হবে। এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ইসলামি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপচারিতার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি বলছেন আপনাদের ডিউটি নির্বাচনী ভোট কেন্দ্রের ভীতরে ডিউটি পরলে একভাবে ডিউটি করবে আর বাহিরে ডিউটি পরলে আর একভাবে ডিউটি করতে হবে, দাঁড়ি পাল্লার পক্ষে কাজ করতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার জন্য ১৫ বছর লড়াই করলাম। গনতন্ত্রের জন্য এতো জেল জুলুম হুলিয়া হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে জীবনের বিনিময়ে হাজার হাজার মানুষের অংগের বিনিময়ে ফ্যাসিষ্ট ভোট ডাকাত শেখ হাসিনার সরকার কে উৎখাত করলাম। দেশ ছাড়তে বাধ্য  করলাম। শেখ হাসিনা তো বলতেন তোমরা আমাকে বিশ্বাস করো। আমি জাতির জনকের কন্যা। আমি ভোট কারচুপি করবো না। তারপর রাতের আধারে ভোট ডাকাতি করতেন। কিন্তু বর্তমানে জামায়াতের নেতারা প্রকাশ্যই দাম্ভিকতার সাথে বলছেন আমরা কিভাবে ভোট কারচুপি বা ডাকাতি ক্ষমতায় যাবো। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বা বর্তমান ড. ইউনুসের সরকার কিছুই বলছেন না। তাহলে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন কিভাবে হবে। বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এজন্য আমরা দাবী করছি জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান, শাহজাহান চৌধুরী সহ যারা প্রকাশ্য ভোট কারচুপির পরিকল্পনা করছেন এদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হউক, জিজ্ঞেসাবাদ করা হউক। আমরা মনে করি কেউ আইনের উর্ব্ধে নয়। আমরা আজকের আমাদের সমাবেশে দেশবিরোধী রাজাকার জামাত শিবির যারা হামলা চালিয়েছে এইসব সন্ত্রাসী দের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছি। সরকারকে ৭২ ঘন্টা সময় দিলাম অন্যথায় দেশের জনগন কে সাথে নিয়ে এই দেশবিরোধী ধর্মব্যবসায়ী রাজকারদের বিরুদ্ধে দুর্বার গনআন্দোলন গড়ে তুলবো। আমরা বাংলাদেশের নেতাকর্মী কমরেডগন কোন অপশক্তি কে ভয় পাইনা। ন্যায় ও সত্যি প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দেশের মানুষের জন্য ও দেশ মাতৃকার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত। দুনিয়ার মজদুর এক হয় লড়াই করো।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে