পীরগঞ্জের প্রত্যন্ত জনপদে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে ব্রাইট স্টার

এফএনএস (মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান; পীরগঞ্জ, রংপুর) : | প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
পীরগঞ্জের প্রত্যন্ত জনপদে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে  ব্রাইট স্টার

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা চির অবহেলিত অনগ্রসর জনপদ পাচগাছি ইউনিয়নে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে ব্রাইট স্টার কিন্টার গার্টেন এন্ড স্কুল। প্রতি বছর এখান থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরী হচ্ছে। ভর্তিও সুযোগ পাচ্ছে দেশের নামি দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। যে কারনে প্রতি বছর এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বর্তমানে নার্সারী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮’শ ৩ জন। বিগত ২০০৫ সালে ১০ শতক জমির উপর প্লে থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ৭৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। শিক্ষক কর্মচারিদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হিসেবে ২০১৯ সালে ৮ম শ্রেণীর পাটদান ও ২০২৫ সালে ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর পাঠদানের অনুমতি লাভ করে। বর্তমানে জমির পরিমান ৮১ শতক হলেও শিক্ষার্থীদের স্থান সংকুলান হচ্ছে না। শুধুমাত্র প্লে থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে ৫’শ ২০ জন। এজন্য শিক্ষক রয়েছেন ২০ জন। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে ২’শ ৮৩ জন। এজন্য শিক্ষক রয়েছেন ৯ জন। শুরু থেকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ সাজু মিয়া। এখানে বিশ কিঃ মিঃ দুর থেকেও শিক্ষার্থীরা নিয়মিত এসে পড়ালেখা করে। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার বৈরাতী,শিববাজার, সাদুল্যাপর উপজেলার ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের শিক্ষার্থী রয়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতকে নির্বিঘ্ন করতে ও আনা নেয়ার জন্য ২৫ টি সিএনজি রয়েছে। এসব সিএনজি সকাল ৯ টায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসে এবং ছুটির পর বিকেল ৪ টায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর গন্তব্যে পৌছে দেয়। দুপুরের খাবার এরা বাড়ি থেকে নিয়ে এসে নিজ নিজ ক্লাসেই টিফিনের সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের সাথে নিঃশব্দে খেয়ে নেয়। ফলে কোন হৈ হুল্লোড় হয় না। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ আতোয়ার রহমান আক্ষেপ করে বলেন-কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গুটি কতক শিক্ষার্থী থাকলেও তারা স্কুল ভবন পেয়েছে। অথচ ৮’শ ৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আমরা অনেক কষ্টে লেখা পড়া করাচ্ছি। বারবার আবেদন নিবেদন করেও একটা ভবন পাইনি। একটিমাত্র বিদ্যালয় ভবন আমাদের সব কষ্টকে দুরীভুত করতে পারে। অনগ্রসর এলাকায় এই প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যতে তিনি কলেজে রুপ দেয়ারও স্বপ্ন দেখছেন। এদিকে এই প্রতিষ্ঠানের সফলতা দেখে প্রতিযোগিতামুলক আরও বেশ কয়েকটি অভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সেগুলোতেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে পড়ালেখার মানও উন্নত হচ্ছে সমানতালে। ফলে এগিয়ে যাচ্ছে পড়ালেখার পরিবেশ। তৈরী হচ্ছে মেধাবী শিক্ষার্থী,আগামীর প্রজন্ম !    

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে