আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। এ সংক্রান্ত নানা দৃষ্টান্ত ও উদাহরণ উপস্থাপন করা হয়েছে। ইসলামের সঠিক জ্ঞান ও প্রকৃত দায়ীর অভাবে মানুষজন ধর্ম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। বর্তমানে হক ও বাতিলের যে দ্বন্দ্ব তা অতীতেও ছিল। জিকিরের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়া যাবে। আমাদের সবাইকে আখিরাতের কথা স্মরণ এবং মস্তিষ্কে আল্লাহ তা'আলার বয়ান ধারণ করতে হবে। হক-বাতিল প্রসঙ্গ উত্থাপনকালে বলা হয় যে, হক দুই ধরনের। আল্লাহর হক এবং বান্দার হক। সঙ্গী/ বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সজাগ থাকতে হবে। কারণ যে যে রূপ সঙ্গী বেছে নেবে সে পরকালে সেরুপ পরিণাম বা পুরস্কার লাভ করবে। পবিত্র বুখারী শরীফের শেষ হাদিসের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয় ওয়াজ মাহফিল। ৬ নভেম্বর শনিবার বাদে জোহার হতে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ঈদগাহ হাই স্কুল মাঠে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা ও অভিমত প্রকাশ করেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর শায়খুল হাদিস মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ঈদগাঁও উপজেলার ছদর হযরত মাওলানা ইমাম জাফর আলম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন দ্বীন কায়েম সংগঠন কক্সবাজারের সভাপতি মাওলানা আমীরুল ইসলাম মীর, ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হেফাজত উল্লাহ নদভী, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি কক্সবাজারের ছদর মুহাম্মদ বদিউল আলম সওদাগর, ইসলামিক সম্মেলন সংস্থা ঈদগাঁওর নির্বাহী সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম এবং জেলা দ্বীন কায়েম সংগঠনের সদস্য মুহাম্মদ হাবিব কন্ট্রাকটর।
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ঈদগাঁও উপজেলার ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ জিকিরে আমন্ত্রিত মেহমান ছিলেন মাওলানা মুফতী নুরুল হাকিম, মাওলানা আলী আহমদ, মাওলানা মনছুর আলম, দ্বীন কায়েম সংগঠন ঈদগাঁও উপজেলা সভাপতি মাওলানা শামশুল হক আজিজী, মাওলানা রহমত উল্লাহ, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা হাফেজ জাফর আলম, মাওলানা মুফতী শাহেদ নূর কুতুবী, মাওলানা আব্দুল খালেক নিজামী, মাওলানা কবির আহমদ ও মাওলানা নুরুল আবছার প্রমুখ।
সকালে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মাওলানা মোঃ ইসমাইল, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কারি রমজান আলী, মাওলানা হাফেজ মিজান, হাফেজ উসামা, মাওলানা হাফেজ মোর্শেদ, সাইফুল ইসলাম,
মোঃ এহছান, মাওলানা রাশেদুল ইসলাম, মাওলানা নাসিরসহ স্থানীয় আলেম- উলামা, যুব ও সংগঠন ছাত্র সংগঠন প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী সংগঠন সহ ইসলাম রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ।
শেষ মোনাজাত কালে শায়খে চরমোনাই দেশ ও জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। এর আগে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দলের প্রতীক হাত পাখার পক্ষে সমর্থন চান। মাহফিলে জিকিরের সাথে দলে দলে যোগ দেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।