প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কর্মস্থলে ফিরে তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নিচ্ছেন গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে গতকাল রোববার সকালে সহকারী শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত বিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম শুরু করেন।
বালীগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সহকারী শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিচ্ছেন। যেই সব পরীক্ষা হয়ে গেছে সেই মূল্যায়ন খাতা দেখে নম্বর দিচ্ছেন। সকল শিক্ষক যথাযথভাবে তাদের শিক্ষা কার্য চালিয়ে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তাদের কাজে যোগদান করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম করে যাচ্ছেন।
বালীগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেশমা বেগম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা হচ্ছে। সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষা নিচ্ছেন এবং মূল্যায়ন খাতা দেখছেন।
গত ৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ইনফরমেশন অফিসার আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠনের কর্মবিরতি ও পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদানের নির্দেশনা দেয়া হয়। শিক্ষকদের অবিলম্বে কাজে যোগদান করে শিক্ষার্থীদের তৃতীয় প্রান্তিকের পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত বিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্নের জন্য বলা হয়। অন্যথায় এ ধরনের শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চাকুরি আইন, আচরণ বিধিমালা ও ফৌজদারী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারির পর প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ ও বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ গত ৪ ডিসেম্বর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকল শিক্ষকদের জানান। আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে রোববার থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারাদেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সকল শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়া হবে।
জানা যায়, প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বর্তমানে দশম গ্রেডে উন্নীত হয়েছে। তবে সহকারী শিক্ষকরা ১৩ তম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। তারা এ নিয়ে অসন্তুষ্ট। গ্রেড উন্নীতকরণের দাবিতে তারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।