নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বাজেডুমরিয়া সরকার পাড়ায় নকল ওষুধ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গোপন সংবাদ পেয়ে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয় এমন তথ্য ভোক্তা অধিদপ্তরের। ওই কারখানায় নকল ওষুধ তৈরি করা হতো শুধু ময়দা দিয়ে। দেশের বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য কোম্পানির নকল ওষুধ তৈরি হতো ওই কারখানায়।
সেখানে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে। কারখানার মালিক গোলাম রব্বানীর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ওষুধ তৈরির মেশিন ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। প্রায় এক লাখ টাকা সমমূল্যের নকল ওষুধ ও ভেজাল উপকরণ জনসমক্ষে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এতে সহায়তা করে আনসার ব্যাটালিয়নের একটি দল। জানা যায়, অভিযুক্ত রব্বানী দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতে গোপন কারখানা স্থাপন করে ময়দা দিয়ে বিভিন্ন বিখ্যাত কোম্পানির নকল ওষুধ তৈরিও বাজারজাত করে আসছিলেন।
জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সামসুল হক বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নকল ওষুধ তৈরির সত্যতা পাওয়া যায়। এ অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং জব্দকৃত ক্ষতিকর মালামাল ধ্বংস করা হয়।
জেলা ওষুধ প্রশাসনের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মিতা রায় জানান, রব্বানী তার বাড়িতে ময়দা ব্যবহার করে নকল ওষুধ তৈরি করতেন। অভিযানে এসব সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে, নকল ওষুধ তৈরির মতো গুরুতর অপরাধে মাত্র অর্থদণ্ড প্রদান করায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির কেন্দ্রীয় পরিচালক হাকীম মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ। তিনি অভিযোগ করে বলেন,নকল ওষুধ জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম হুমকি। এক্ষেত্রে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ার কথা ছিল। প্রচলিত নিয়ম ও অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ওই ব্যক্তিকে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হয়নি।