মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধন ব্যবস্থা এনইআইআর নিয়ে দীর্ঘদিনের আলোচনার পরও সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠক শেষেও কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি কার্যালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, অবৈধ ফোন বন্ধ ও এনইআইআর চালুর বিষয়ে সরকার আগের মতোই কঠোর অবস্থানে আছে।
বৈঠকের আগে থেকেই মোবাইল ব্যবসায়ীরা দাবি করে আসছিলেন, হ্যান্ডসেট নিবন্ধন কার্যক্রম এক বছর পিছিয়ে দিতে হবে এবং বর্তমান এনইআইআর ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। তাদের অভিযোগ, বাজারে করফাঁকি দিয়ে আনা প্রায় ৫০ লাখ হ্যান্ডসেট রয়েছে, যেগুলোকে শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে বৈধ করার সুযোগ দেয়া উচিত। একইসঙ্গে বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানিতে ৫৮ শতাংশ শুল্ক কমানোর দাবিও জানানো হয়।
প্রধান আলোচনার টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে এনইআইআর চালুর সময়সীমা ও অবৈধ ফোন বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। এমবিসিবির সভাপতি বলেন, “বৈঠকে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। সরকার এনইআইআর ও অবৈধ ফোন বন্ধ করার বিষয়ে কঠোর। আগামীকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি আবার বসবে। আমরা সেখানে আলোচনার ফলাফলের অপেক্ষা করব। এরপর পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে।”
এদিন সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান বলেন, বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের শুল্ক কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তিনি জানান, “আদেশ পেলে শুল্কছাড় বাস্তবায়ন করবে এনবিআর। তবে এটি স্বল্প সময়ের জন্য কার্যকর হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচিত সরকার।”
দিনের শেষে আলোচনার চিত্র বলে দিচ্ছে, এনইআইআর বাস্তবায়ন নিয়ে সরকার তার অবস্থান থেকে সরে আসছে না এবং ব্যবসায়ীরা চাইছেন সময়, সংস্কার ও শুল্ক সমন্বয়। আগামী বৈঠকের দিকে তাই ব্যবসায়ী মহল, আমদানিকারক থেকে সাধারণ ক্রেতা, সবার নজর থাকবে।