নীলফামারীর সৈয়দপুরে অসংখ্য ছোট ছোট খাদ্য তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। কোন প্রকার সরকারি নিয়মনীতি না মেনে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ি এ সকল কারখানায় ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তৈরি ও বাজারজাত করে চলছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই সকল ব্যবসায়ি ভেজাল ব্যবসা করে হয়েছে লাখপতি থেকে কোটিপতি।
১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ নীলফামারী কর্তৃক মনিটরিং পরিচালনা করা হয়। এ সময় সৈয়দপুর উপজেলার বাঁশবাড়ি এলাকায় কোহিনুর চানাচুর কারখানায় মনিটরিং পরিচালিত হয়। মনিটরিংকালে বিষাক্ত অনুমোদিত রং, পোড়া তেল, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চানাচুর তৈরি,পশুখাদ্যের বস্তায় চানাচুর সংরক্ষণ করতে দেখা যায়। যা খেলে মানবদেহে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। এমনকি মানুষের মৃত্যুও হতে পারে এ সকল ভেজাল খাদ্য খেলে।
নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর ধারা ৫৫ এর অধীন ক্ষমতাবলে মেসার্স লিটন ফুড প্রোডাক্টস এর ১৩.৫০ কেজি অননুমোদিত রং, ৪০ কেজি অননুমোদিত মশলা, ৩৫০ কেজি (আনুমানিক) পোড়া তেল ও ১২০০ কেজি চানাচুর জব্দ করা হয়। পরবর্তী আদেশ প্রদান না করা পর্যন্ত উল্লিখিত জব্দকৃত মালামাল অবিকল অবস্থায় নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়। কারখানাটির উৎপাদন পরবর্তী নির্দেশ প্রদান না করা পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়।