বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ শুক্রবার সকালে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বললেন, “যাদের ইতিহাস সবসময় বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে, ’৪৭ থেকে ’৭১ যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল তাদের কথাও আমাদের বলতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সচেতন, তাদের কাছে ধর্মের বড়ি বিক্রি করা যাবে না।”
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা। মানুষ গণতন্ত্রের মুক্তি চেয়েছে, হারানো মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের মুক্তি চেয়েছে। যার সমষ্টিগত ফল চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থান শুধুমাত্র ৩৬ দিনের আন্দোলনের ফসল নয়। ২০০৯ থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত বহু রক্ত দিতে হয়েছে। রক্তের সোপান মাড়িয়ে আমরা গণতন্ত্রের বিজয় ছিনিয়ে এনেছি।”
তিনি আরও বলেন, “সবাই অতীতের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের কথা ভুলে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের ভোট পাওয়ার আশায় একটি দল তাদের কুকীর্তি নিয়ে কথা বলে না। রক্তস্নাত ইতিহাস যেন আমরা ভুলে না যাই, আওয়ামী লীগের দুর্নীতি যেন আমরা ভুলে না যাই। যারা হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে ছাত্র-জনতাকে মেরেছে, তাদের যেন আমরা ভুলে না যাই।”
বিএনপির এ নেতা আরও উল্লেখ করে বলেন, “শ্বেতপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২৯ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা আওয়ামী লীগের সময় পাচার হয়েছে। তারা অর্থনৈতিকভাবে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। একটি দেশের কবর রচনা করেছে আওয়ামী লীগ।”
‘বিএনপির ৩১ দফা জাতির মুক্তির সনদের একটি নির্যাস। যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে আমরা যে ৩১ দফা প্রনয়ণ করেছি তা বাংলাদেশের মহাকাব্যে পরিণত হয়েছে’-যোগ করেন সালাহউদ্দিন।