১৪ডিসেম্বর সুজানগর হানাদার মুক্ত দিবস

এফএনএস (খাইরুল ইসলাম বাসিত; পাবনা) : | প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
১৪ডিসেম্বর সুজানগর হানাদার মুক্ত দিবস

১৪ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত পাবনার সুজানগর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ওইদিন পাকসেনারা স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে পরাজিত হলে সুজানগরে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশের লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ সরদার জানান, ১৯৭১সালে পাকসেনারা তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামসদের সহায়তায় উপজেলার নাজিরগঞ্জ, শ্যামনগর, সাতবাড়ীয়া, নারুহাটি, খারপাড়া, তাঁতীবন্দ এবং সুজানগর উপজেলা সদরে হামলা চালিয়ে খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের পাশা-পাশি লুটপাট চালায়। এরই এক পর্যায়ে ভারতের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং উপজেলার মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ পাকসেনাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। মুক্তিযোদ্ধারা নাজিরগঞ্জ এবং তাঁতীবন্দসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাকসেনাদের ওপর হামলা চালিয়ে পরাজিত করে। তবে হানাদার বাহিনী বিভিন্ন স্থানে পরাজিত হলেও তৎকালীন সুজানগর পুলিশ স্টেশন এবং সুজানগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সেনা ক্যাম্প দখল ছাড়েনা। তারা ওই দুই স্থানে অবস্থান নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট অব্যাহত রাখে। তবে ১১ডিসেম্বর স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল ইসলাম বিশুর নেতৃত্বে সুজানগর পুলিশ স্টেশন ও সুজানগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সেনা ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। টানা তিনদিন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের এক পর্যায়ে ১৪ডিসেম্বর পাকহানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করলে সুজানগর হানাদার মুক্ত হয়। যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম মোস্তফা কামাল দুলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধ আবু বকর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম শহীদ হন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল ইসলাম বিশু আহত ও  বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান সাইদ পাকহানাদারদের গুলিতে অন্ধত্ব বরণ করেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে