ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির সাথে ব্যাপক হারে বালুতে যমুনায় অস্বাভাবিক ভাবে পানি হ্রাস পাওয়ায়, ব্যাপক নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এতে নৌকার মাঝি- মাল্লা ও যাত্রীরা প্রতিদিন নৌ-রুটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
শুষ্ক মৌসুম শুরুতেই যমুনার পানি একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে। দেখা দিয়েছে নদীতে অসংখ্য ছোট, বড় ডুবো চর। এই সব চরে আটকা পরেছে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌকা। দিনের বেলা ডুবো চরে মাঝ নদীতে আটকে পরা নৌকা ঠেলে-গুতে কোন মতে নৌ- চলাচল করলেও সন্ধ্যা নামলেই , একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় নৌ-রুট গুলো। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উত্তরের জেলা গাইবান্ধা,রংপুর,লালমনিরহাট, নিলফামারী,পঞ্চগড় জেলায় জ্বালানি তেল, রাসায়নিক সার সহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনে যমুনার নৌ- রুট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আন্ত:জেলা জামালপুর মাদারগঞ্জ - বগুড়ার সারিয়াকান্দি নৌ-রুটে যাত্রী পরিবহনে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। যমুনার দেলুয়াবাড়ি, গজারিয়া, দারুণা, নারাপালা সহ নদীর বিভিন্ন স্থানে ডুবো চরের কারণে ৮টি নৌ রুট বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তবে ওই সব স্থানে নৌ-রুটে ঘাট কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় খননের উদ্যোগ নেওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ফুলবাড়ী বালুচর গ্রামের মাঝিমাল্লা আব্দুল মতিন বলেন, ডুবোচর পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছুতে দ্বিগুন, কোন ক্ষেত্রে তিনগুন সময় লাগছে।এই কারণে পণ্য -যাত্রী নিয়ে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছা কঠিন ও পরিবহন খরচও বাড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের মনির মনিটরি; আছে।তাতোও বিষয়টা ধরে পড়ে ধরা পড়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে ঊর্ধ্বতন জানিয়েছি।আশা করছি, খুব শীগ্রই একটা ব্যবস্থা হবে।