ওসমান হাদির মরদেহ আজ সন্ধ্যা ঢাকায় পৌঁছাবে, নেওয়া হবে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম
ওসমান হাদির মরদেহ আজ সন্ধ্যা ঢাকায় পৌঁছাবে, নেওয়া হবে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের লড়াকু যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। সেখানে পৌঁছানোর পর তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে এবং সাধারণ মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি জানিয়েছেন, “শহিদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে নিতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুইপাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নেবো।”

ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর পুরানা পল্টনে নির্বাচনী প্রচারণার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, মরদেহ দেশে পৌঁছানোর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে যাতে সর্বসাধারণ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। একই সঙ্গে দেশের সব মসজিদ ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে ওসমান হাদির মাগফেরাতের জন্য দোয়া ও সহিংসতা এড়িয়ে খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শোক ও বিক্ষোভ মিছিল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।

বিমানের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা সমকালকে জানান, হাদিকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৮৫ ফ্লাইটটি দুপুর ২টা ৩ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয় এবং বিমানবন্দরে অবতরণে আট নম্বর গেট ব্যবহার করা হবে।

শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, তার স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র।