ভোটের ট্রেন ছুটছে: গন্তব্য কি সত্যিকারের পরিবর্তন?

মীর আব্দুল আলীম
| আপডেট: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০১:১৪ পিএম | প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০১:১৪ পিএম
ভোটের ট্রেন ছুটছে: গন্তব্য কি সত্যিকারের পরিবর্তন?
মীর আব্দুল আলীম

নির্বাচনের ট্রেন এখন গর্জন তুলে ছুটছে। তফসিল ঘোষণার পর রাজনীতির আকাশে যে ধোঁয়াশা ছিল, তা অনেকটাই সরেছে। তবে খুলে গেছে নতুন এক বিতর্ক সুষ্ঠ হবে তো সুষ্ঠু নির্বাচন? রাতের ভোটের কালিমা কি এবার আর ফিরে আসবে না? জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সত্যিই কি নিজের ভোট গণনায় দেখতে পাবে? গণতন্ত্রের মুক্তি, রাষ্ট্র পরিচালনার পুনরায় বৈধতা প্রতিষ্ঠাসব প্রশ্নের কেন্দ্রেই রয়েছে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন।

জুলাইয়ের আন্দোলন দেশের রাজনীতিকে বদলে দিয়েছে। মানুষের মনে জন্মেছে নতুন প্রত্যাশা গণতন্ত্রের পথ সুগম হবে, দুর্নীতি কমবে, সৎ ও শিক্ষিত নেতৃত্ব উঠে আসবে। তরুণ প্রজন্ম বিশেষভাবে চায় বাংলাদেশ পরিচালনায় আসুক যোগ্য, আধুনিক চিন্তার নেতৃত্ব; দেশ হোক সমান সুযোগের রাষ্ট্র। কিন্তু রাজনৈতিক বাস্তবতাও কঠিন। পুরোনো শক্তি, গোষ্ঠীপ্রভাব, প্রশাসনিক রাজনীতি-সবই এখনও সক্রিয়। তাই প্রশ্ন দাঁড়ায় ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কি সত্যিই পরিবর্তনের বাহক হবে? নাকি আগের মতোই একটি অকার্যকর ভোট গণতন্ত্রের ভান তৈরি করবে? এই নির্বাচনের গুরুত্ব এখানেই এটি শুধু একটি সরকার নির্বাচন নয়; এটি রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ চরিত্র নির্ধারণের লড়াই। এমন এক সময় যখন বিস্তৃত জনগোষ্ঠী মনে করছে ক্ষমতার পালাবদল নয়, বরং দরকার নীতির পালাবদল তখন নির্বাচন হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মঞ্চ। এই লেখায় নির্বাচনকে ঘিরে বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা, গণমানুষের প্রত্যাশা, শঙ্কা, সম্ভাবনা এবং বাস্তবতার আলোকে  বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিকোণ তুলে ধরছি।

গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণের মোড়:  ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের এক বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করেছে। কারণ টানা এক যুগ জনগণ ভোটাধিকার হারিয়েছিল, নির্বাচনি অংশগ্রহণ প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। মানুষ দেখেছিল শক্তিধরদের দখলে ভোটকেন্দ্র, প্রভাবশালীদের আধিপত্য, নির্বাচনি মাঠ থেকে বিরোধী দলের দূরে সরে যাওয়া। তার ওপর ছিল প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্ব। এসব কারণে নির্বাচন মুখে থাকলেও গণতন্ত্র ছিল ভেঙে পড়া অবস্থায়। জুলাইয়ের আন্দোলন একটি সামাজিক মনস্তত্ত্ব তৈরি করেছে মানুষ আর ক্ষমতার দাপটে চুপ করে থাকবে না। তারা চায় এমন নির্বাচন যেখানে ভোটের মাধ্যমে সত্যিকারের নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে। তবে শঙ্কার জায়গা আরও বড়। অতীতের অভিজ্ঞতা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, মাঠ প্রশাসনের স্বভাব সবই জনগণকে ভাবায়। এই মুহূর্তে জনগণের প্রত্যাশা হচ্ছে সততা, সুশাসন ও দক্ষতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচন। কিন্তু এর বিপরীত বাস্তবতাও রয়েছে দলীয় মনোনয়ন বাণিজ্য, অর্থবল, গোষ্ঠীশক্তি। এ দুই বাস্তবতার সংঘাতই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে করেছে অত্যন্ত সিদ্ধান্তমূলক। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার তখনই সফল হবে, যখন অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে আন্তরিক হবে। জনগণ দেখতে চায় ক্ষমতার ভাষা নয়, নীতির ভাষা চলবে। এই পরীক্ষায় রাষ্ট্র কতটা উত্তীর্ণ হতে পারে, সেটাই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

কীভাবে ফিরবে জনগণের বিশ্বাস: গত এক দশকের বড় ক্ষত হল “রাতের ভোট”আগের রাতেই ব্যালট ভর্তি হয়ে যাওয়ার যে দুর্নাম, তা বাংলাদেশের নির্বাচনি ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। সাধারণ মানুষ নিজের চোখে দেখেছে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে না পারার বেদনা, ভোটকর্মীদের অসহায়তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিতর্কিত ভূমিকা। ফলে ভোটারের মনে জন্মেছে গভীর অবিশ্বাস-ভোট দিলেও ফল বদলায় না। এই আস্থাহীনতা দূর করা নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে কঠিন কাজ। দৃশ্যমান পদক্ষেপ ছাড়া মানুষ বিশ্বাস করতে পারবে না যে এবার নির্বাচন সত্যিই সুষ্ঠু হবে। রাতের আগে ব্যালট সিল করা বন্ধ করতে হবে, কেন্দ্র পাহারা দেয়ার নামে দলীয় তৎপরতা বন্ধ করতে হবে, সিসিটিভির মাধ্যমে স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে। কিন্তু শুধু প্রযুক্তি বা মনিটরিং দিয়ে আস্থা আসবে না। প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা। শাসকগোষ্ঠী যদি নির্বাচনকে সত্যিকারের প্রতিযোগিতামূলক করার প্রতিশ্রুতি না দেয়, তবে সুষ্ঠু ভোট অসম্ভব। বিরোধী দলগুলোর ক্ষেত্রেও দায়িত্ব আছে সহিংসতা নয়, নীতিনিষ্ঠ প্রতিযোগিতা। যদি ভোটাররা দেখে যে কেন্দ্রে গিয়ে তারা নিজের ভোট নিজের হাতে দিল এবং গণনায় তা বহাল থাকল তাহলেই বাংলাদেশ নতুন যুগে প্রবেশ করবে।

নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা:  নির্বাচন কমিশন হলো নির্বাচনের আত্মা। কিন্তু অতীতে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন ছিল “নিরপেক্ষ তো নয়ই, বরং রাজনৈতিক ক্ষমতার ছায়ায় পরিচালিত হয়।” এই ভাবমূর্তি ভাঙা কঠিন। নিরপেক্ষ কমিশন মানে শুধু তফসিল ঘোষণা নয়; এর মানে মাঠপর্যায়ের প্রতিটি পর্যায়ে শক্ত ভূমিকা। যেমন পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ, অনিয়মে কঠোর ব্যবস্থা, মনোনয়ন বাণিজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান, দলীয় প্রভাব প্রতিহত করা। এগুলো দৃশ্যমান না হলে জনগণকে আশ্বাস দেয়া যাবে না। এবার কমিশনকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো আগের অভিজ্ঞতা ভুলে নতুন করে বিশ্বাস স্থাপন। তদুপরি কমিশনের সাংগঠনিক স্বাধীনতা বাড়াতে হবে অর্থ, প্রশাসন, লজিস্টিক সবক্ষেত্রেই। যদি কমিশন দৃঢ় অবস্থান নেয়, রাজনৈতিক দলগুলো স্বচ্ছ প্রতিযোগিতায় বাধ্য হবে। আর যদি কমিশন দুর্বল হয়, তাহলে নির্বাচন আবারও বিতর্কের মুখে পড়বে।

মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা কতটা অনুকূল? বাংলাদেশের নির্বাচনের অন্যতম দুর্বলতা হলো মাঠ প্রশাসনের রাজনৈতিক প্রভাব। অনেক সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ, স্থানীয় রাজনৈতিক গোষ্ঠী একত্রে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে এটি অস্বীকার করা যায় না। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সফল করতে হলে এ জায়গাটিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ না হয় তাহলে ভোটার কেন্দ্রে যাবে না, বিরোধী প্রার্থীরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না, আর সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এবার মূল প্রশ্ন ইন্টারিম সরকারের অধীনে প্রশাসন কতটা স্বাধীন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি সব দলের জন্য সমান আচরণ করবে? রাজনৈতিক নির্দেশনা ছাড়া কি তারা কাজ করবে? এসব প্রশ্নের ওপরই নির্ভর করছে ভোটের ভবিষ্যৎ।

শিক্ষিত, সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বের দাবি:  জুলাইয়ের আন্দোলনের পর একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে জনগন চায় শিক্ষিত, সৎ ও দক্ষ মানুয়ের নেতৃত্ব। তারা চায় শিক্ষিত, ভদ্র, সৎ, দায়িত্বশীল মানুষ সামনে আসুক। কিন্তু দলীয় রাজনীতিতে প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলো এখনও পুরোনো পদ্ধতিতেই প্রার্থী নির্ধারণ করতে চাইছে। ধনী, প্রভাবশালী, সংঘবদ্ধ ক্ষমতার লোকেরাই বেশি সুযোগ পাচ্ছে। এটা সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে যায়। ফেব্রুয়ারির নির্বাচন তাই হয়ে উঠছে নির্বাচনের চেয়েও বেশি এটি নেতৃত্ব বাছাইয়ের প্রক্রিয়ার পরিবর্তন করবে কি না, সেটির পরীক্ষা। জনগণ চায় মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হোক; ছাত্ররাজনীতির সহিংস চরিত্র বাদ দিয়ে দক্ষ তরুণরা উঠে আসুক; নারীর নেতৃত্ব বাড়ুক; দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব উঠে আসুক।

তরুণ ভোটার নির্ধারক শক্তি নাকি উপেক্ষিত ভোটব্যাংক? বাংলাদেশের ভোটারদের মধ্যে বড় অংশ তরুণ কিন্তু তাদের মতামত রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখে না। তরুণদের প্রত্যাশা বেশি চাকরি, নিরাপত্তা, আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন। যদি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়, তরুণ ভোটার হবে পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। তারা এবার বেশি সচেতন; সামাজিক মাধ্যমে সংগঠিত; গণতন্ত্রের মূল্য বোঝে। দলগুলো যদি তরুণদের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব না দেয়, তাহলে তাদের ভোট হয়তো পরিবর্তনের ঢেউ তুলতে পারে।

অর্থনীতি ও নির্বাচন: অর্থনীতি বর্তমানে বড় সংকটে। মূল্যবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, ব্যাংকিং দুর্নীতি-সবকিছু মিলিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন অসহনীয়। নির্বাচন তাই কেবল রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়; এটি অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণেরও প্রক্রিয়া। যে নেতৃত্ব আসবে তাকে দক্ষ হতে হবে, সাহসী হতে হবে, দুর্নীতি মোকাবিলায় কঠোর হতে হবে। মানুষ দেখতে চায় না দলীয় লোকদের লুটপাট; তারা চায় স্থায়ী শিল্পনীতি, কর্মসংস্থান, অর্থনীতি সুস্থ করা।

দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্রের দাবি; নির্বাচন কি শুরু করতে পারে পরিশুদ্ধির পথ? দুর্নীতি এখন রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি অফিস থেকে উন্নয়ন প্রকল্প, ব্যাংকিং খাত থেকে রাজনৈতিক নিয়োগ সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতির প্রভাব গভীর। জনগণ চায় নির্বাচন এমন নেতৃত্ব দিক যারা সত্যিকারের সংস্কার আনবে। দুর্নীতিবাজদের মনোনয়ন না দেওয়া, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা-এসবের ওপর নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ।

রাজনৈতিক সহাবস্থান বদলে যেতে পারে সংঘাতের সংস্কৃতি: বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংঘাত, প্রতিহিংসা, বিভাজন খুবই প্রকট। দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা নেই বললেই চলে। এ কারণে রাষ্ট্র পরিচালনা অচল হয়ে পড়ে। যদি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু হয় রাজনীতিতে সহাবস্থানের নতুন দরজা খুলতে পারে। বিরোধী দল সংসদে ফিরে আসবে, জবাবদিহি বাড়বে, নীতিনিষ্ঠ রাজনীতি প্রসার পাবে।

গণমাধ্যমের ভূমিকা; সত্য প্রকাশে কি স্বাধীনতা থাকবে? গণমাধ্যমই নির্বাচনের আয়না। কিন্তু অতীতে সাংবাদিকেরা ছিলেন চাপের মুখে গুম-হামলা-হুমকি ছিল তাদের দৈনন্দিন ভয়। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ছিল বড় শেকল। এবার প্রশ্ন গণমাধ্যম কি স্বাধীনভাবে অনিয়ম তুলে ধরতে পারবে? যদি পারে, তাহলে নির্বাচন আরও স্বচ্ছ হবে। আর যদি না পারে আবারও জনগণের কাছে অস্পষ্ট হয়ে থাকবে ভোটের বাস্তবচিত্র।

আন্তর্জাতিক নজরদারি: বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ! বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনায়। পশ্চিমা বিশ্ব, জাতিসংঘ, আঞ্চলিক সংস্থাগুলো-সবাই চায় বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। কারণ এতে বিনিয়োগ বাড়বে, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে। আন্তর্জাতিক চাপ কিছু ক্ষেত্রে সরকারকে সতর্ক করেছে; তবে দেশের ভেতরের রাজনৈতিক সদিচ্ছাই সবচেয়ে বড় উপাদান। বিশ্ব চাইবে এমন নির্বাচন যাকে তারা গ্রহণযোগ্য বলতে পারে।

ভবিষ্যতের পথরেখা; ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কি মোড় ঘোরাতে পারবে? ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট। এটি নতুন রাজনীতি আনতে পারে, কিংবা আবারও পুরোনো সংকট তৈরি করতে পারে। সব প্রশ্নের মূল হলো ভোট কি মানুষ দিতে পারবে? ফল কি ভোটের ওপর নির্ভর করবে? প্রশাসন কি নিরপেক্ষ থাকবে? যদি উত্তর “হ্যাঁ”হয় তাহলে বাংলাদেশ সামনে এগোবে। যদি “না”তাহলে অস্থিরতা আরও গভীর হবে।

উপসংহার: ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কেবল একটি নির্বাচন নয়; এটি জনগণের দীর্ঘদিনের দমন-পীড়ন, দুঃখবোধ ও প্রত্যাশার নির্যাস। মানুষ চায় সত্যিকারের পরিবর্তন, চায় যোগ্য নেতৃত্ব, চায় দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র। এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো আস্থা তৈরি করা-জনগণের ভোটই হবে ক্ষমতার মূল ভিত্তি। যদি রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরকে সুযোগ দেয়, যদি কমিশন নিরপেক্ষ থাকে, যদি প্রশাসন আইনসঙ্গত আচরণ করে-তাহলে নির্বাচন হবে এক নতুন সূচনার দ্বার। বাংলাদেশের সামনে এখন দুই পথ- একটি পথ নেয় সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতন্ত্র, ন্যায়-সুশাসনে; আরেকটি পথ নেয় অস্থিরতা, দ্বন্দ্ব ও অনিশ্চয়তার দিকে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনই বলে দেবে বাংলাদেশ কোন পথে হাঁটবে। 

-লেখক- মীর আব্দুল আলীম, সাংবাদিক, সমাজ গবেষক, মহাসচিব-কলামিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ, নির্বাহী সভাপতি- বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন।