ধানমন্ডির সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ভবনে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ছায়ানটের ব্যবস্থাপক দুলাল ঘোষ বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, ২০ ডিসেম্বর রাতের ওই ঘটনায় ছায়ানট ভবনের ভেতরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। সিসিটিভি ক্যামেরা, আসবাবপত্র, তবলা, হারমোনিয়াম, বেহালাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করা হয়। ভবনের একাধিক কক্ষে আগুন দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
ছায়ানট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাতের আঁধারে একদল দুর্বৃত্ত ভবনে প্রবেশ করে এই হামলা চালায়। ঘটনার সময় ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে।
হামলার পর ছায়ানট ভবন পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী। তিনি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। এ সময় তিনি বলেন, “দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ওপর এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মামলার তদন্ত চলছে এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।