সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার উফাপুর গ্রামে একটি বাড়ি থেকে মেছোবাঘ বা বনবিড়াল আটক করা হয়েছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভোররাত আনুমানিক ২টার দিকে গ্রামের আলমগীর হোসেন সরদারের বাড়িতে চিতাবাঘটি ফাঁদে আটকা পড়ে।
বাড়ির মালিক আলমগীর হোসেন আমিন বলেন, তাঁদের বাড়িসহ গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে প্রায়ই হাঁস-মুরগি নিখোঁজ হচ্ছিল। তাঁরা ধারণা করেছিলেন, শিয়াল এসব নিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে শনিবার রাতে মুরগির খোঁয়াড়ের পাশে একটি বড় ফাঁদ পেতে রাখা হয়। ভোররাতে শব্দ পেয়ে বাইরে বের হয়ে তাঁরা ফাঁদের ভেতরে একটি মেছোবাঘ বা বনবিড়াল দেখতে পান। পরে প্রতিবেশীদের খবর দিলে সবাই মিলে বাঘটিকে আটকে রাখেন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে হাঁস-মুরগী নিখোঁজ হলেও কী প্রাণি তা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। মেছোবাঘ আটকের ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এতদিনে বাঘটি কোনো মানুষের ক্ষতি করেনি।
মেছোবাঘ আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে সেটি দেখতে আশপাশের গ্রাম থেকে শত শত মানুষ আলমগীর হোসেনের বাড়িতে ভিড় করেন।
স্থানীয় বাজার কমিটির সভাপতি ও বিএনপি নেতা ডা. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আলমগীর আমার নিকট আত্মীয়। মেছোবাঘ আটকের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে জানানো হয়েছে।’
কলারোয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কে এম আবদুল্লাহ আল মানুন বলেন, মেছোবাঘ বা বনবিড়াল বিপন্ন প্রাণি নয়। সেকারণে যে গ্রাম থেকে বনবিড়ালটি ধরা পড়েছে তার আশেপাশে আরও বনবিড়াল বা মেছোবাঘ থাকতে পারে। বনবিড়ালটি ওই গ্রামের আশেপাশের কোন জঙ্গলে ছেড়ে দিলে তার স্বগোত্রীয় প্রাণিদের সাথে মিশে যেতে পারে।
কলারোয়া উপজেলা বন বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মারুফ বিল্লাহ জানান, বনবিড়াল আটকের খবর শোনামাত্রই তিনি বনবিভাগের সহায়তাকারী মোহাম্মদ আলীকে ঘটনাস্থলে পাঠান। বনবিভাগের সহায়তাকারী মোহাম্মদ আলী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের সহায়তা নিয়ে বনবিড়ালটি উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে অবমুক্ত করা হয়েছে।