গৌরনদীতে বিজয় পতাকা উড়েছিলো আজ

এফএনএস (বরিশাল প্রতিবেদক) : | প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
গৌরনদীতে বিজয় পতাকা উড়েছিলো আজ

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয় ঘোষিত হলেও বরিশালের গৌরনদীতে পাকহানাদার মুক্ত হয়েছিলো ২২ ডিসেম্বর।

দীর্ঘ ২৮ দিন মুক্তিবাহিনী ও মুজিব বাহিনীর যৌথ আক্রমনের পর ১৯৭১ সালের ২২ ডিসেম্বর সরকারি গৌরনদী কলেজে অবস্থানরত শতাধিক পাক সেনা মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলো। স্বাধীনতার র্দীঘ ৫৪ বছর পরেও এখানে নির্মিত হয়নি কোন স্মৃতিস্তম। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী স্মৃতিস্তম নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শী মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ননায় জানা গেছে-৭১ সালের ২৫ এপ্রিল পাক সেনারা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে এ জনপদে প্রবেশের মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তাদের প্রবেশের খবর শুনে গৌরনদীর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীরা গৌরনদীর কটকস্থল সাউদেরখালপাড় নামকস্থানের বট গাছের পিছনের অংশে পাক সেনাদের প্রতিহত করার জন্য বাংকার করে অবস্থান নেন।

পাক সেনারা সেখানে পৌঁছলে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পরে। সেইদিন (২৫ এপ্রিল) পাক সেনাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে প্রথম শহীদ হন আগৈলঝাড়ার গৈলা এলাকার আলাউদ্দিন ওরফে আলা বক্স, গৌরনদীর নাঠৈ গ্রামের সৈয়দ আবুল হাসেম, চাঁদশীর পরিমল মন্ডল ও বাটাজোরের মোক্তার হোসেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে সেইদিন আটজন পাক সেনা নিহত হয়। এটাই ছিলো বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে স্থলপথে প্রথম যুদ্ধ এবং এরাই হচ্ছেন প্রথম শহীদ।

২৫ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আটজন পাকসেনা নিহত হবার পর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। সেদিন পাকসেনাদের গুলিতে দুইশতাধিক নিরীহ গ্রামবাসী মারা যায়। হানাদাররা গৌরনদী বন্দরসহ পাশ্ববর্তী এলাকার শত শত ঘর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছিলো। মে মাসের প্রথম দিকে পাকবাহিনী সরকারি গৌরনদী কলেজে স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে। ক্যাম্পে ছিল আড়াই শতাধিক সৈন্য।

গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. ইব্রাহীম বলেন, ১৯৭১ সালে বরিশাল বিভাগে স্থলপথে প্রথম সম্মুখ যুদ্ধের স্থানে (সাউদেরখালপাড়) দ্রুত স্মৃতিস্তম নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে